একটার পর একটা চলছে দিনের পর দিন। এর সঙ্গে পুপে জুড়েছে, কোনোদিন দুপুর বেলায় ওর ঘরে গিয়ে বলেছে, মায়ের আলমারি থেকে পাকপ্রণালীর বই খান খুঁজে বের করতে, বন্ধু সুধাকান্ত বাবু শিখতে চায় মোচার ঘণ্ট তৈরি করা। আর একদিন পুপের সুবাসিত নারিকেল তেল নিয়ে গেল চেয়ে, ভয় হযেছে মাথায় টাক প’ড়ে আসছে দেখে। আর একদিন দিন্দার ওখানে গান শুনতে গেল, দিন্দা তখন তাকিয়া ঠেসান দিয়ে ঘুমিয়ে।
এই যে আমাদের এক যে আছে মানুষ, এর একটা নাম নিশ্চয়ই আছে। সে কেবল আমরা দুজনেই জানি, আর কাউকে বলা বারণ। এইখানটাতেই গল্পের মজা। এক যে ছিল রাজা, তারও নাম নেই, রাজপুত্র, তারও নেই, আর রাজকন্যা, যার চুল লুটিয়ে পড়ে মাটিতে, যার হাসিতে মাণিক, চোখের জলে মুক্তো তারও নাম কেউ জানে না। ওরা নামজাদা নয় অথচ ঘরে ঘরে ওদের খ্যাতি।
এই যে আমাদের মানুষটি—এ'কে আমরা শুধু বলি “সে”। বাইরের লোক কেউ নাম জিগেস করলে আমরা দুজনে মুখ চাওয়া-চাওয়ি ক’রে হাসি। পুপে বলে আন্দাজ ক’রে বলে দেখি, প দিয়ে আরম্ভ। কেউ বলে প্রিয়নাথ, কেউ বলে পঞ্চানন, কেউ বলে পাঁচকড়ি, কেউ বলে পীতাম্বর, কেউ বলে পরেশ, কেউ বলে পীটার্স, কেউ বলে প্রেস্কট্, কেউ বলে পীরবক্স, কেউ বলে পীয়ার খাঁ।
এইখানে এসে কলম থামতেই একজন বললে, গল্প চলবে তো?
কার গল্প? এ তে রাজপুত্তর নয়, এ হোলো মানুষ, এ খায় দায় ঘুমোয়, আপিসে যায়, সিনেমা দেখবারও সখ আছে। দিনের পর দিন যা সবাই করছে তাই এর গল্প। মনের মধ্যে যদি মানুষটাকে স্পষ্ট ক’রে গ’ড়ে তোলো তাহোলে দেখতে পাবে এ যখন দোকানের রোয়াকে ব’সে রসগোল্লা
৫