আমার কথা ও করে চুরি, নিজের মুখে সেটা দেয় বসিয়ে।
কিন্তু-
“কিন্তু” না তো কী। লিখেছে ভালোই।
কিন্তু-
হাঁ, ঠিক কথা। আমি অমন করে লিখিনে, হয়তো লিখতে পারিনে। আমার মালটা ও চুরি করে, তারপরে যখন পালিস ক'রে দেয়, তখন চেনা শক্ত হয়—এমন ঢের দেখেছি। ঠিক ঐ রকম আর একটি ছড়া বানিয়েছেঃ-
শোনাও না।
আচ্ছা শোনো তবে।
সুঁদর বনের কেঁদো বাঘ,
সারা গায়ে চাকা চাকা দাগ।
যথাকালে ভােজনের কম হােলে ওজনের
হােত তার ঘােরতর রাগ।
একদিন ডাক দিল গাঁ গাঁ,
বলে—তাের গিন্নিকে জাগা।
শােন্ বটুরাম ন্যাড়া পাঁচ জোড়া চাই ভ্যাড়া,
এখনি ভােজের পাত লাগা।-
বটু বলে-এ কেমন কথা,
শিখেছ কি এই ভদ্রতা।
এত রাতে হাঁকাহাঁকি ভালাে না, জানো না তা কি,
আদবের এ যে অন্যথা।
মাের ঘর নেহাৎ জঘন্য,
মহাপশু, হেথায় কী জন্য।
ঘরেতে বাঘিনীমাসি পথ চেয়ে উপবাসী
তুমি খেলে মুখে দেবে অন্ন।
৬১