গ্রামে আবিষ্কৃত হইয়াছিল। ইহা এখন কলিকাতার চিত্রশালায় আছে[১]। এই জাতীয় আর একটিমাত্র মুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছিল কিন্তু এখন তাহা কোথায় আছে বলিতে পারা যায় না।
(৫) একদিকে রাজা একটি ময়ূরকে আহার্য্য প্রদান করিতেছেন ও অপর দিকে ময়ূরবাহন কার্ত্তিকেয়মূর্ত্তি অঙ্কিত আছে। বর্দ্ধমান জেলার কোনও গ্রামে এই জাতীয় একটি মুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছিল; তাহা এক্ষণে বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের চিত্রশালায় আছে[২]। যশোহর জেলার মহম্মদপুর গ্রামে প্রথম কুমারগুপ্তের কতকগুলি রজতমুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছিল[৩]।
পুষ্করণাধিপতি চন্দ্রবর্ম্মার কনিষ্ঠ ভ্রাতা নরবর্ম্মার পৌত্র বন্ধুবর্ম্মা (বিক্রমাব্দ ৪৯৩ অর্থাৎ ৪৩৭ খৃষ্টাব্দ), মহারাজাধিরাজ প্রথম কুমারগুপ্তের রাজ্যকালে মালবদেশের শাসনকর্ত্তা ছিলেন[৪]। কুমারগুপ্তের রাজ্যকালে কুমারামাত্য পৃথিবীষেণ তাঁহার মন্ত্রী ছিলেন এবং তদনন্তর মহাবলাধিকৃত অর্থাৎ প্রধান সেনাপতির পদলাভ করিয়াছিলেন[৫]।
মহারাজাধিরাজ প্রথম কুমারগুপ্তের মৃত্যুর পরে তাঁহার জ্যেষ্ঠপুত্র স্কন্দ-
- ↑ Proceedings of the Asiatic Society of Bengal, 1882, pp. 91, 104; Catalogue of Coins in the Indian Museum, Vol I, p. 115, No. 38, and note 1.
- ↑ Descriptive List of Sculptures and Coins in the Museum of the Bangiya Sahitya Parishad, p. 21. No. 6.
- ↑ Journal of the Asiatic Society of Bengal, Vol XXI, p. 401.
- ↑ Fleet’s Corpus Inscriptionum Indicarum, Vol III, p. 82.
- ↑ Epigraphia Indica, Vol X. p. 72; Journal and proceedings of the Asiatic Society of Bengal, Vol. V. p. 458; বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা ১৬শ ভাগ, পৃঃ ১১১।