রূপে বর্ণনা করিয়াছেন[১]; কিন্তু দণ্ডভুক্তি-রাজ ধর্ম্মপালের সহিত গৌড়েশ্বর মহীপালের সম্পর্কসূচক কোন প্রমাণ অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয় নাই। বসুজ মহাশয় তাঁহার গ্রন্থের স্থানে স্থানে ‘দণ্ডভুক্তি’ স্থানে ‘দন্তভুক্তি’ লিখিয়াছেন[২]। কিন্তু এই স্থানের প্রকৃত নাম ‘দণ্ডভুক্তি’; কারণ, সন্ধ্যাকরনন্দী প্রণীত ‘রামচরিতে’ দণ্ডভুক্তির অধিপতি জয়সিংহের নাম আছে[৩]। রামচরিতের টীকায় দেখিতে পাওয়া যায় যে, জয়সিংহ উৎকল-রাজ কর্ণকেশরীকে পরাজিত করিয়াছিলেন। ইহা দণ্ডভুক্তির অবস্থান-নির্ণয়ের আর একটি প্রমাণ; কারণ, উৎকল-রাজের সহিত দক্ষিণ-মগধের অধিপতি অপেক্ষা উৎকল-রাজ্যের উত্তর সীমায় অবস্থিত প্রদেশাধিপতির যুদ্ধ হওয়াই অধিকতর সম্ভব। বসুজ মহাশয় বলিয়াছেন যে, ধর্ম্মপাল প্রথমে রঙ্গপুর জেলায় রাজত্ব করিতেন, কিন্তু পরে মধ্য-রাঢ়ে আসিয়া বাস করিয়াছিলেন[২]। অদ্যাবধি এমন কোন প্রমাণ আবিষ্কৃত হয় নাই, যদ্দ্বারা এই উক্তি সমর্থিত হইতে পারে। রাজেন্দ্রচোল যখন দক্ষিণ-রাঢ় আক্রমণ করিয়াছিলেন, তখন রণশূর দক্ষিণ-রাঢ়ের অধিপতি। শূরবংশীয় নরপতিগণের মধ্যে রণশূরের নামই সর্ব্বপ্রথমে খোদিতলিপিতে দেখিতে পাওয়া যায়। রাজেন্দ্রচোল রণশূরকে পরাজিত করিয়া বঙ্গদেশ আক্রমণ করিয়াছিলেন। বঙ্গদেশের অধিপতি গোবিন্দচন্দ্র হস্তিপৃষ্ঠ হইতে নামিয়া পলায়ন করিয়াছিলেন। রাজেন্দ্রচোল বঙ্গদেশ
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম পরিচ্ছেদ।
২৪৯