রাজা বলে শুন মা জননি লক্খি রাই।
ইগ্লা কথা মিথ্যা তোমার বিশ্শাস না পাই॥
এতেক জদি গিয়ান ছিল হাড়িপা লঙ্কেশ্বর।
তার চেতে অধিক গিয়ান জান মা মএনা সুন্দর।৮৫
তৱে ক্যান আমার পিতা গ্যাল জমের ঘর॥[১]
- ↑ পাঠান্তর—
এত জদি গিয়ান আছে শরিরের ভিতর।
তবে ক্যান বুড়া বাপ মোর গ্যাল ডমের ঘর
মন্ত্রনা বলে হারে বেটা রাজদুলালিয়া।
গোটা চারি গিয়ান জদি বাপক দিলু হয়।
জুগে ভুগে বাগ মোর বাচিয়া রহিল হয়।
মোরে নাথান পাচ জন পুত্র আরো পালু হয়।
মোক জ্ঞান সিখিবার কও কোন আউলর ঠাঁই॥
মুই জ্ঞান সিথিনু গোরকনাথর ঠাঁই।
তোক জ্ঞান সিখিবার কঁওঁ খোলা হাড়ির ঠাই॥
হাড়ির কথা শুনিয়া রাজা কর্নত দিল হাত।
অধম্ম কথা আনিল জিহ্বাত।
হাড়ি ছাড় জাতি স্বেতখানা নিকাইয়া না করে স্থান।
বাইস দণ্ড রাজা হইয়া করিমু হাড়িক প্রনাম॥
ময়না বলে সুন যাদু চুপ করিয়া কইস কথা।
হাড়ি যেন না শুনে অভিসাপ দিলে মরিবু এখন॥
তোর নগরিয়া প্রদীপ জলে তৈলে আর ঘিয়ে।
ঐ হাড়ি প্রদীপ জ্বালায় সুধ গঙ্গার জলে॥
যত গুটি প্রদীপ নাই তোর নগরিয়ার ঘরে।
অত গুটি প্রদীপ হাড়ির খপরার ভিতরে॥
কাহার ঘরে খায় হাড়ি কহার ঘরে যায়।
মুখর জোওয়াবে দরিয়া বান্দা যায়॥
দরবারে থাকিয়া বাজা বেচরিত মন।
দয়ার ভাই গোলাম খেতু ডাকে ঘনে ঘন॥
কোথায় গেল ভাই আগে পান খামু।
বাপ কালিয়া পাতক হাজির করিমু॥