পিতা, থুয়েন তোমার দুস্কের কথা এক দিক্ করিয়া।
ছেনান কর পিতা ঠাকুর জলপান খাই বসিয়া॥
ভোগ নাড়ু তেস্টা নাড়ু দিছে আমার বাজুত বান্দিয়া।১৭৭০
ছেনান কর তিন বাপতে নাড়ু খাই বসিয়া॥
এলায় জদি ধড়ি কোনা হিরা ভিজা পায়।
সাত পহর হিরার ভাড়ুআ আমাক কিলায়॥
জাদুরে—এলায় জদি গাও ধোওঁ ন্যাংটি ভিজিয়া।
পাচ জুতা মারবে নটি চালতে টাঙ্গাইয়া॥১৭৭৫
পঙ্খির জিদ্দি মহারাজা সইবার না পাইল।
বার গাইটা ন্যাংটি ডাঙ্গাত খসাইয়া থুইল॥[১]
একখান জিগার ছাল নিলে পরিধান করিয়া।
গাও ধুইছে মহারাজ গঙ্গাএ নামিয়া॥
চক্খু মুদি মহারাজ দৌড়িয়া ঝম্প দিল।১৭৮০
পাঙ্খা দিয়া জল পাখি ছেকিবার নাগিল।
ঠোঁট দিয়া গাএর মএলা কাটিবার নাগিল॥
গাত্রর মএলা দিয়া তিন বাগের জল ঘোলা করিল।
এক ডুব দুই ডুব তিন ডুব দিল॥
রাজার ন্যাংটি ধোপানি চিলাত উড়িয়া নিগ্যাল॥[২]১৭৮৫
- ↑ পাঠান্তরে—
বার গাইঠা ধড়ি শুদ্ধা রাজা সিনানে নামিল।
- ↑ পাঠান্তর—
পুন্নিমার চন্দ্র জ্যান জলিয়া উঠিল।
সরু সরু দুই মানিক মুখ দিয়া পড়িল॥
সরগের দ্যাবগন জয় জয় হইল।
রাহু কেতু শনি রাজার ছাড়িয়া পালাইল॥
রাজার ছেলানে গঙ্গা পাতার চল বাড়িয়া গ্যাল।
বার গাঠি ধড়ি রাজার সোতে নইয়া গ্যাল॥
উড়াও দিয়া পখি জোড়া বৃক্খ ডালে পইল।
অকারন করিয়া রাজা কান্দিতে নাগিল!