ধন কাঙ্গালি হৈল রাজ্য রাজ্যের ভিতর।
ক্যামন করি বঞ্চিব রাইয়ত সকল॥
ছোট রাইয়তে বড় রাইয়তে পরামশ করিয়া। ৪৫
মহতের বাড়ি নাগি চলিল হাটিয়া॥
প্রধান বলে রায়ত সকল এ বুদ্ধি নাই আমার বরাবর।
চল যাই সিবের বরাবর কি আজ্ঞা বলে বোলা মহেশ্বর॥
যত রায়ত পরামস করিয়া গেল সিবের বরাবর।
সিব ঠাকুর বৈলে তোলে ছাড়ে রাও।
ঘরে ছিল সিবঠাকুর বাহিরে দিলে পাও॥
সিবকে দেখিয়া রায়ত জন করে পরনাম
গলে বস্ত্র বান্ধিয়া করে পরনাম॥
জীও জীও রায়ত ধর্ম্ম দেউক বর।
ষত গুটি সাগরের বালা এত আরিব্বল॥
কেনে কেনে রায়ত সকল আইলেন কি কারন॥
কেমন বুদ্ধি করি কেমন চরিচর।
অসতি রাজা হইল রাজ্যের ভিতর।
ধেয়ানে বুড়া সিব ধেয়ান কৈরে চায়।
ছয় মাসের পরমাই রাজার কপালে নাগাল পায়॥
মোর কথা কন যদি ময়নার বরাবর।
কৈলাশ ভুবন মোর কৈর্ব্বে নণ্ড ভণ্ড॥
এক সত্য দুই সত্য তিন সত্য হরি।
তোমার কথা যদি কওঁ মহাপাপে মরি॥
যেত রায়ত জন পরামস করিয়া।
স্রীকলের হাঠত নাগিয়া যান চলিয়া॥
ধুপ সিন্দুর নেন পাতিল ভরিয়া।
হাঁস কৈতর নেন খাঞ্চা ভরিয়া॥
ধওলা পাঁঠা নেন রসী সাইঙ্গ করিয়া।
রবিবার দিন নিরা থাকিয়া পারনী গঙ্গা যান চলিয়া।
ধর্ম্মরে থান গঙ্গা কিনারে বান্ধিয়া।
ধওলা পাটা দেন বালু ছেদ করিয়া॥