পাতা:তারাচরিত.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তারাচরিত।
১৯

থাকেন। তুমি কি ইতিহাসের কথা শুন নাই? অর্জ্জুন লক্ষ্য ভেদ করিয়া পাঞ্চালী রত্ন লাভ করিয়াছিলেন। পাঞ্চালী কেবল তাঁর রূপ দেখিয়া মুগ্ধ হন নাই। আর দেখ হেড়ম্বা রাক্ষসী বটে, কিন্তু তাঁর বীরত্বের উপর কত আদর ছিল। তিনি ভীমের বীরত্বের কথা শুনিয়া তাহাকে বরমালা দিয়া নিজ মহত্ত্বের পরিচয় দিয়া গিয়াছেন। দেখ দেখি সখি কৈ কেহইত কাহারও রূপের পক্ষপাতী হইলেন না, সকলেই শূরত্বের ও বীরত্বের গুণে বশীভূত হইয়াছেন, আমিও প্রতিজ্ঞা করিয়াছি, যদি যুবরাজ এই যুদ্ধে জয়ী হইতে পারেন তাঁহাকে বরমালা প্রদান করিব। তাঁহাদের এই রূপ কথোপকথন হইতে লাগিল।



তৃতীয় পরিচ্ছেদ।

 এদিকে যুদ্ধ যাত্রার সমুদায় অনুষ্ঠান হইলে আর কালের মধ্যেই তাঁহারা সকলেই যুদ্ধের নিমিত্ত বাহির হইলেন। আর এই পরামর্শ হইল যে মুসলমান ধর্ম্মের আদি গুরু ও প্রবর্তক মহম্মদের দৌহিত্রদিগের নিধন প্রাপ্তি দিবসীয় তিথি প্রস্তাবিত সংগ্রামের দিবস অবধারিত হউক। পাঁচশত অশ্বারোহী মহাবীর সমভিব্যাহারী হইলেন। বীর কুলচূড়ামণি পৃথ্বীরাজ যুদ্ধ যাত্রা করিলেন। শুনিয়া সকলে জয় জয় ধ্বনি করিতে লাগিল। তার রাজকুমারকে গিয়া বলিলেন যে আমিও আপনার সহকারিণী হইব। পৃথ্বীরাজ বলিলেন সুন্দরি