পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*8 রামায়ণ । সমগ্র পৃথিবী শাসন করিতে সমর্থ হয়, স্বৰ্গও তাছার পক্ষে সুলভ হইয়া থাকে। রাম ! অতঃপর তোমায় আর কি বলিব, তার আমাকে নিবারণ করিলেও, আমি তোমার হস্তে মৃত্যু কামনা করিয়া, সুগ্ৰীবের সহিত দ্বন্দ্বযুদ্ধে প্রবৃত্ত হইয়াছিলাম । বালী এই বলিয়া তৎকালে মৌনাবলম্বন করিলেন । তখন রাম বালীকে ছিন্নসংশয় দেখিয়া সাধুসন্মত ধর্মপ্রমাণ বাক্যে আশ্বাস প্রদান পূর্বক কছিলেন, দেখ, তুমি আমাদিগকে দোষী বোধ করিও না, আপনাকেও অপরাধী বুঝিও ना। আমরা তোমা অপেক্ষণ ধৰ্ম্মের মৰ্ম্ম অনুধাবন করিয়াছি, সুতরাং আমি যাহা কহি, অনন্যমনে শ্রবণ কর । যে, দণ্ডনীয়কে দণ্ড করে এবং যে দণ্ডিত হয়, তাহারা কার্য্যকীরণ-গুণে সিদ্ধসংকল্প হুইয়া আর অবসন্ন হয় না । এক্ষণে তুমি এই দণ্ডসম্পর্কে নিষ্পাপ হইয়াছ, এবং দণ্ডশাস্ত্রের সিদ্ধান্ত উদ্বোধ হওয়াতে স্বীয় ধৰ্ম্মানুগত প্রকৃতিও অধিবার করিয়াছ। অতঃপর তুমি ভয় শোক ও মেছি দূর কর, কৰ্ম্মফল অবশ্যই ভোগ করিতে হইবে। অঙ্গদ যেমন তোমার নিকট স্নেহে প্রতিপালিত হইতেছে, আমার নিকট ভদ্রপই হইবে, এবং সুগ্ৰীবও তাহীকে কখন অনাদর করিবেন না | অনন্তর বালী সমরপ্রমার্থী রামের এই মধুর কথা শ্রবণ পূর্বক যুক্তিসঙ্গত বাক্যে কহিলেন, বীর ! আমি শরপীড়িত