ওই আদিকাণ্ডে তৃতীয় অধ্যায় । । বারে নাশ । মনুষ্য রূপেতে আমি হলেম প্রকাশ । তুমি আর দশরথ পূর্বে আরাধিলে । পুত্র ভাবে আমারে মা অনেক সাধিলে । সেকারণে জন্মিলাম তোমার উদরে। অনিন্দিত গর্ত্ত তব নিবেদি সাদরে । আমার এরূপ মাগে৷ ষ! তুমি দেখিলে। অদৃষ্ট বশতঃ সর্ব্ব তপস্যায় মিলে ॥ আমার দর্শনে মোক্ষ অনায়াসে হয়। অন্যেতে দুর্লভ মাত কহি গো নিশ্চয়। মাত৷ পুঞ্জে এ সংবাদ যে করে শ্রবণ। এক চিত্তে পাঠ যদি করে অনুক্ষণ ॥ আমার সারূপ্য পদ সেই জন লয়। আমারে স্মরণ তার মৃত্যু কালে হয় । মায়েরে কহিয়া হরি এতেক বচন। বালক ভাবেতে প্রভু করেন রোদন। অতি সুশোভিত কায় ইন্দ্র নীল যন। পরম সুন্দর রূপ বিশাল লোচন ॥ তরুণ অরুণ আভ প্রকাশে শরীরে। সুকোমল তনু ধরি অখিল ঈশ্বরে। পুত্রের উম্ভব শুনি রাজা দশরথ । আনন্দ সাগরে মগ্ন বশিষ্ঠের সাথ ॥ মহা আনন্দিত হয়ে করেন গমন । কমল লোচন রামে করেন দর্শন। পুলকে পূর্ণিত অঙ্গ হরষিত মন। করুণরস সংযুক্ত সজল নয়ন। জাত কর্ম্ম যেই রূপ কর্ত্তব্যতা ছিল। গুরুর আজ্ঞায় রাজা সকলি করিল। কৈকেয়ী প্রসবে সুত পদ্মাক্ষ্য ভরত। চুই পুত্র জন্মিলা সুমিত্র গর্ত্ত জাত। সহস্র২ গ্রাম বিপ্রে রাজা দিলা। সুরভী সুবর্ণ রত্ন বস্ত্র বিলাইলা। র্যাহারে করিয়া ধ্যান সর্ব্ব মুনি গণ। বিপুল বিজ্ঞান পায় পরম
পাতা:অধ্যাত্ম রামায়ণ - মহেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৬
অবয়ব