লঙ্কাকাও శ్రీ পাঠাইয়া দাও।” রাক্ষসের নিতান্ত মরণ-দশা উপস্থিত না হইলে লক্ষ্মণকে এত বড় কথা বলিতে কখনও সাহস করিত না । ষাহী হউক, শেষে রাম আসিয়া অস্ত্র ধরিলেন । এবার যুদ্ধ বাধিল বটে। সেই লোহার পাহাড় যেন শেল, শূল আর গদার কারখানা। তাহা হইতে হাওয়াই বাজীর মত চারিদিকে অস্ত্র ছুটিতে লাগিল। কিন্তু রামের বাণের কাছে সে সব অস্ত্র লাগে কোথায় । রাম এক একটি বাণ ছাড়েন, আর রাক্ষসের বড় বড় অস্ত্র গুড়া হইতে থাকে। এই ভাবে যুদ্ধ করিতে করিতে রাম এক বাণে কুম্ভকর্ণের হাত, আর এক বাণে তাহার পা কাটিয়া ফেলিলেন , তবু কি সে জব্দ হয়! সেই অবস্থায় হা করিয়া রামকে গিলিতে আসিল । তখন রাম চন্দ্র-অস্ত্রে তাহার মাথা উড়াইয়া দিলেন । কুম্ভকর্ণের দুই ছেলে ছিল—কুম্ভ আর নিকুম্ভ । তাহাবাও প্রায় বাপের মতই বীর । কিন্তু যুদ্ধে আসিয়া তাহাদিগকেও রামের হাতে প্রাণ দিতে হইল । তাঁর পর ইন্দ্রজিৎ আবার আসিল এবং পুর্বের স্তায় চেঞ্জ। বাণে রাম, লক্ষ্মণকে এমন কঠিন আঘাত করিল যে, দুই জনেই অজ্ঞান হইয়া পড়িলেন । বানর মহলে আবার শোকের রোল উঠিল । সুগ্ৰীব, অঙ্গদ, বিভীষণ সকলেই খুব ভয় পাইলেন । কিন্তু জাম্ববান কিছুমাত্র অস্থির না হইয়া হনুমানকে বুঝাইয়া বলিল, “বাপু, শুধু শুধু কাদিয়া ফল কি ? তুমি এখনই ঔষধের জন্য যাও। হিমালয় পার হইয়াই সম্মুখে ঋষভ-পর্বত দেখিবে।
পাতা:ছোটদের রামায়ণ - যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৬৭
অবয়ব