পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৭ আলাউদ্দৌল্লা (মীর অথবা মির্জ)– একজন কবি । র্তাহার কবিজন সুলভ নাম কাফি । তিনি সম্রাট আকবরের সময় জীবিত ছিলেন এবং তাহার সমকালধৰ্ত্তী সমুদয় কবির জীবনী সংগ্রহ করেন । আলা-উল-হক-ইনি একজন ফকির। তিনি লাহোর নিবাসী জনৈক ধনাঢ্য মুসলমানের পুত্র । পিতার সহিত বঙ্গদেশে আসিয়াছিলেন । পিত। গৌড়ের বাদশাহের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন । পুত্র মুকদুম আখি, সিরাজ উদ্দীন নামক এক সাধু পুরুষের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন ও ফকির হয়েন । ফকির হইয়া তিনি অকাতরে অর্থব্যয় করিতে থাকেন। ইহাতে বাদশাহের মনে সন্দেহ হয় যে, রাজকোষ হইতে কোষাধ্যক্ষ অর্থ প্রদান করিতেছেন । সন্দেহবশে বাদশাহ ফকিরকে সুবর্ণগ্রামে নিৰ্ব্বাসিত করেন । কিন্তু সেখানেও ফকির অজস্র অর্থব্যয় করিতে থাকেন । তখন বাদশাহ নিজের ভ্রম বুঝিতে পারিয়া ফকিরকে ক্ষমা করিলে, ফকির পুনরায় পাণ্ডুয়ায় আসিয়া বাস করিতে থাকেন । ১৩৮৪ খ্ৰীঃ অব্দে পাণ্ডুয়। নগরেই তাহার মৃত্যু হয় । তাহার সমাধি মন্দির এখনও তথায় বৰ্ত্তমান আছে। বাদশাহ আবুল মুজাফর মাহমুদ শাহের শাসন সময়ে তিনি পরলোক গমন করেন ; ভারতীয়-ঐতিহাসিক তাহার আলাওল আলাওল পণ্ডিত, সৈয়দ–চট্টগ্র אןবাসী সৈয়দ আলাওল পণ্ডিত বাং ১১ ৬০ সালে ‘হস্তপয়কার’ ‘ নামে এক গ্রন্থ রচনা করেন । এতদ্ব্যতীত ১১৪১ সালে কাজী দৌলত পণ্ডিতের সহঁযোগে ‘সতীময়না’ নামেও এক গ্রন্থ তিনি রচনা করিয়াছিলেন । ১১৯৫ সালে তাহার ‘দার। সেকেনদার নাম।” প্রকাশিত হয় । তাহার ‘পদ্মাবতী’ নামক গ্রন্থ সম্ভবত ১১৮৭ সালে রচিত হয় । তাহার রচিত সয়ফল মুল্লুক’ কখন প্রকাশিত হয় জানা যায় না । ইনি অনুমান ১১১৫ খ্ৰীঃ আব্দ জেলা ফরিদপুরের, ফতেয়াবাদ পরগণার অন্তর্গত জালালপুর নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তাহার পিতা ফতেয়াবাদের অধিপতি মজলিস কুতবের সভাসদ ছিলেন । পিতার সঙ্গে জল পথে আরাকান যাইবার সময় পৰ্টুগীজ দম্য কর্তৃক আক্রান্ত হন, এবং দক্ষ্যদের হস্তে পিতার মৃত্যু ঘটে । আলাওল সাহেব কোন মতে প্রাণ লইয়া পলায়ন পূৰ্ব্বক শ্ৰীচন্দ্র সুবৰ্ম্মার আশ্রয় গ্রহণ করেন। পরে রাজার প্রধান মন্ত্রী কাব্য রসপ্রিয় মুসলমান জাতীয় মাগন ঠাকুরের আশ্রয় প্রাপ্ত হন। মাগন ঠাকুর আলাওল সাহেবের কেবল আশ্রয়দাতা ও অন্নদাতা ছিলেন না, র্তাহারই অনুরোধে তিনি ‘পদ্মাবতী’ ‘সয়ফলমুল্লুক’ ও ‘বদি উজ্জমাল’ নামক