পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—জানি, ১৩২৪ দোরোখা একাদশী ( যুক্ত গগনেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর মহাশয়ে অঙ্কিত আধায়ের প্ৰবাসীর মুখপাত ৰেণিয়া উড়িয়ে লুচি আড়াই দিন্তে দেড় কুড়ি আমি সহ একাদশীর বিধানদাতা করেন একাদশী, মুখরোচক এর উপবাস,—মেও ভাবি,--আহে পুণ্য ততই বাড়ে বতই এলান্‌ তুড়ির কলি । ওদিকে ওই ক্ষীণ মেয়েটি নিত্য একাহারী একাদশী বিধান পালন করছে প্ৰাণে ময়ে কাতে প্ৰাণ খুঁকছে, চোখে সৰ্থে-স্কুলের সারি তৃষ্ণাতে জিভ, অসা, মালা জপ্‌ছে ঠাকুর-ঘরে । অবাক চোখে বিশ্ব সাথে হায় গো বিশ্বনাথ দোরোখা এই বিধান পরে হয় না পাত নিষ্ঠাবানের সধবাও করেন একাদশী পতিয় থাতে প্ৰচুৱাৰে ‘আটকে” বেঁধে রেখে আটা দুধে চুমুক লাগান পিছন ফিরে বসি পাতিদাতা পতিণ্ডর পাছে ফেলেন দেখে । বিড়াল চাটে দুধের বাটি বাড়িয়ে দিয়ে গল পিপড়ে মাছি আমের খোলায় উল্লাসে ভিড় করে শাস্ত্ৰ যাদের ভয় দেখিয়ে করিয়েছে নিৰ্জলা তারাই শুধু হাতে চেটো মেলছে মেঝের পুরে । কৃষ্ণাতে পেটেতাঁত, জিভ, টানছে , এমনি রোদের থসখসে দুই চোখের পাতা হরনা অংশপাত । ফোটায় গোটা শিবের মাথায় কারার যে জ্বল করে - সতৃষ্ণ চোখ সারা বেলা দেখছে শুধু তাই, কাকটা কথন গুটিগুটি ঢুকে ঠাকুর-গৱে অৰ্ঘ্যপাত্ৰে মুখ দে’ গেল, একটুও হু’শ নাই চক্ষু দিয়ে প্ৰাণ পাখী হায় মেল্‌ছে বুধি পাথ ভিপি গেছে—ভি িগেছে--জল কে দেবে মুখে । কারো সাড়া নেইকো কোথাও মিথ্যে স্থাকাডাকা একাদশীর বিধান-দাতার গৰ্জে নাসা সুখে । অধোমুখে বিশ্ব দ্যাথে, হায় গো বিশ্বনাথ, পাষাণ পরে অমল রে’ পড়ে দিবসরাত । শ্ৰীষত্যেন্দ্ৰনাথ দত্ত স্মৃতির সোঁরভ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড মন ছয়ের পরিচ্ছেদ পরদিন সকালে যখন মাৰ্থ গরম জলের পাত্ৰ হাতে কবি আসিয়া টনা গাঢ় ঘুম ভাঙাইয়া দিল, তখন রোদ চাবিধিক ভরিয়া গিাছে, বাতাসের বেগও অনেক কা তাহার চোখদুটি তখনো বাধা করিতেছিল, শরীরও প্ৰাৰ কিন্তু তবু যেন গতবারের সমস্ত বেদনা কেমন বিধা স্বপ্নের মতন মনে হইতেছিল বে উঠিয়া পড়িয়া ফেয়া যেন হতবুদ্ধির কোনো-প্রকারে কাপড়চোপ পরিতে আরম্ভ কৰি তাহার মনে হইতেছিল। অৱনে কোনো কষ্টই তাহাকে কাদাইতে পাৰিবে না। এমন কি নীচে লোকজনের মাঝখানেও তার চুটিয়া যাইতে ইচ্ছা মানুষের সংস্পৰ্শে তাহার এই জড়তাটা ভাষা ল হয়ত কাটা হাইতে পাৱে । রাবিতে আমরা যে-সকল অপরাধ করি, যত নিৰ্ব্ব তার পরিচয় দিই, ভোরের বেলার স্বৰ্গীয় আলো চোখে পড়িতেই রাত্রের সেসৰ ৰাজ আমাদের লজ্জায় লাখ কৱিা তোলে ; সূৰ্য্যকিরণ সোনার পাখা মেলিয়া দেব দূতের মতন অামাদের পিছনের আত্মম্ভরিতার নিয়ানৰ পথ ছাড়াইয়া নুতন পথে লইয়া আসে। টিনা কাহারা নীতি-সুত্ৰ কি ধৰ্ম্মমত কিছুই যদিও জানিত না, তবুকি জানি কেন সকালে উঠিয়া তাহার মনটা খারাপ হই গেল ; মনে হইতেছিল “কাল যেন সে বড় বোকাৰি করিয়াছে, কি একটা অপরাধও করিয়াছে। আঙ্ক সে ভাল হইতে চেষ্টা করিবে ; আজ সকালে প্ৰাৰ্থনা করিতে বসিয়া সে সেই দশবৎসর বয়স হইতে যে প্ৰাৰ্থনা করিতে শিখিয়েছে, তাহাই কপি বটে, কন্তু সেইসঙ্গে এইটুকু জুড়িয়া দিল, “হে ভগবান, এ বেদনা সহ্য করতে আমার সহায় হোৱো ।” সে দিন সে প্ৰাৰ্থনার ফলও যেন পাইল । খাইবা সময় তাহার চেহারা সম্বন্ধে দুই-একটা কথা শুনিবার পর বাকি সকালটা বেশ ধীরভাবেই কাটিয়াছিল। ফাথে উইক্রো ও মিস আশার ঘোড়ায় চড়িয়া ৬ষ্ঠ সংখ্যা] স্মৃতির সেীত ছিলেন । সন্ধ্যায় সে দিন ভোজ, টিনা দুই-একটা গান হইতেছিল । গলার স্বরের সঙ্গে আগেকার ঘরের আকা করিবার পরেই, লেডি শেভাৱেল শীর ভাল নয় বলিয়া, পাতাল প্ৰভেদ কথাগুলি কেমন যেন ভাসা-ভায়া, তাহাকে ঘুমাইতে. পাঠাইয়া দিলেন। সেদিন ঘুমটাও তাহার তাকোনো অৰ্থই হয় না । সে একটু বন্ধ হইল বেশ আনন্দ কি বেদনা বাহাই ভাথে থাকুক, সুরে উত্তর দিল, ভোগ করিবার জন্য শরীর মনে শক্তিটা তাজা করিয়া তা তুমি নাজিথেৰ কল্পেও চলত বোধ হয়। তাতে তোলা দরকার আর তোমার কিছু যায় আসে না । পরদিন সকাল হইতেই বৃষ্টি আরম্ভ, সবাই আজি এতদিন ধরে এই মিষ্টি কথাটি বুকি আমার জন্তে বাণী থাকিবে । তাই স্তর ক্ৰিষ্টফার বলিলেন, আজ সারা জমিয়ে রেখেছিলে ?” বাটী ৱিা অতিথিদের বাড়ীৰ নুতন নক্সার গল্প, পারি “আমার কাছে তোমার মিষ্টি কথা শোনায় বিশেষ বারিক পুরনো ছবি ও চ গুলির ইতিহাস বলা দরকার আছে বলে ত বে ছে না, হুইবে । যখন প্ৰস্তাব করা হইল, তখন রমে মি কাণ্ডেন উইৰো চুপ। অতীতের কথার জের লিখা গিলকিল ছাড়া আর সকলেই ছিলে মিস আশার তাহার মোটেই ইচ্ছা নাই, বৰ্তমান সখন্ধেও কোনো যাইবার জন্তু উঠি কাণ্ডেন উইক্রোর দৃষ্টি অাকৰ্ষণ করি মন্তবাকে তাম্বার বিশেষ ভয় অথচ তাহার ইচ্ছাটা যে বার ইচ্ছায় তাহার দিকে তাকাইলে আশা ছিল টিনার সঙ্গে একটু ভাল ব্যবহারই করে দেখিলেই তিনিও উঠবেন । তিনি কিন্তু একখানা খবরের আদর দেখাইতে, কিছু উপহার দিতে ও নিজের জ হাতে করিয়া তাহার দিকে চোখ নামাইয়া আণ্ডনের তাহার মনটাকে, খুী করিয়া তুলিতেই তাহার ইচ্ছা! ধাৱে চুপাট কবিতা বসিয়া ছিলেন । কিন্তু মেয়ে জাতটাই কেমন যেন একরোখা । তাহাঁহে মিস আশারের উৎসুক দৃষ্টি দেখিয়া লেডি শোরেল কোনো জিনি বিচার করিয়া বুকাইয়া দেখায় কাহা বলিলেন, “অ্যাণ্টনি, তুমি আসছ না ?” সাধ্য ! থানিক পরে অ্যাণ্টনি বলিল, “টন, আমি মনে উঠিয়া দরজাটা খুলিয়া দিয়া আণ্টনি বলিল, “আমার করেছিলাম, আমার ব্যবহারে তুমি বরং আমার ভাল যদি মাপ কর, তবে আজ আর যাব না, সকাল বেলাই বলবে, তা না তুমি এই রকম বেগে চটে বসে আছে। আৰি কেমন একটু সন্ধি-সন্দি লাগছে, থরগুলো স্যাৎসোতে, আশা করেছিলাৰ তুমি বুঝবে যে সকলের ভাল ভেবে হাওয়াটাও ঠাণ্ডা, কেমন ভয় করছে যেতে দেখতে গেলে এই রকম করাটাই মঙ্গল মি আশারের মুখখানা লাল হইয়া উঠিল ; কিন্তু তিনি সুখের পক্ষেও এটা মঙ্গলজনক মুখে কিছু না বলিয়া আস্তে আস্তে ঘরের বাহিরে-চলিয়া টিনা বলিল, “দোহাই তোমার, আমার সুখের জমিদ হেলেন । লেডি অাশারও বাহির হইয়া পড়িলেন অশোরকে অত ভালবাসা দেখিও না। টিনা তথন সেলাই হাতে জানালার ধারে ; বসিয়া। এই … সেই মুহূৰ্ত্তই ঘরের দরজাটা খুলিয়া মিস আশা প্ৰথম তাহারা দুজনে নিৰ্জ্জুনে একাল হইল ; টিনা ভাবিত আসিয়া ঢুকিলেন বাজনার উপর তাহার ছোট খলিটা আপনি বুঝি তাকে এড়াইয়া চলে। কিন্তু এখন যে তুলিয়া ফেলিয়া গিয়াছেন লইয়া যাইতে বইবে । তিনি। সে তাহাকেই কিছু লিতে চায়, সে ত স্পষ্টই বোল টনার আরক্ত মুখের দিকে একটা তীক্ষ দৃষ্টি দিয়া কাথেৰ যাইতেছে। নিশ্চয়ই আজ সে মমতা দেখাইয়া দুটো উইক্লোকে ঠাট্টার সুরে, এই বলিয়াই ধৱ হইতে বাহি সমবেদনার কথা বলিবে অ্যাণ্টনি উঠিয়া আসিয়া তাহার হইয়া গেলেন, “আশ্চৰ্য্য ব্লটে ; ঠাণ্ড লেগেছে বলে জানলার পাশে একটা আসনে বসিল, ধারে এসে বসেছ ।” “হা, টিনা, এতনি ছিলে কেমন ? কথাগুলাও যেমন , অ্যাণ্টনিকে বিশেষ অপ্ৰস্তুত হইতে দেখা গেল না। গলার স্বর ও তেমনি । কথা শুনিয়াইটনার অপমান বোধ সেই থানেই আরো কিছুক্ষণ দ্বিভাৰে বসিয়া সে উঠি