নিয়ে যাচ্চে,কিন্তু, কৈ একটাও রাঙ্গা বৌ এনে দিতে পাল্লেনা।
দাসী। হ্যেঁ গা মা! তোমাদের মেয়েরাও কি নোয়া-বাঁধে, তারাও বুঝি বিয়ে হ’লে হাতে নোয়া পরে না?
চন্দ্রমুখী। বিয়ে হ’লে হাতে নোয়া পরে না ত কি? তুই কি পাগ্লি না কি? এয়িস্ত্রি মান্সে কি নোয়া ছাড়া আছে?
দাসী। পুরুষ এয়িস্ত্রি কি এখানে নোয়া পরে?
চন্দ্রমুখী। পুরুষ এয়িন্ত্রি আবার কি?
দাসী। কেন যাদের দাদাবাবুর মত বিয়ে হয়েছে।
চন্দ্রমুখী। তোর দাদাবাবুর কি এখনও বিয়ে হয়েছে?
দাসী। বিয়ে না হউক, কিন্তু মাঠাক্রুণ! আমি তোমায় বলচি ওই নোয়া হ’তেই দাদাবাবুর বিয়ের ফুল ফুটবে।
চন্দ্রমুখী! নোয়াতেই ফুল ফুটবে কি?
দাসী। হিঁ গো। মুক্ষী কুলীনের বিয়ের ফুল অমনি করে ফোটে। তবে শুন্বে, আমার বনপো, হেতাকার একজনাকার বাড়িতে থাকে, তাদের নাকি পাথরে বিয়ের ফুল ফুটে, আর বিয়ে হ’লেই সেই পাথর হাঁড়ি চাপা দিয়ে রেখে দেয়। দাদাবাবুরও তাই হ’বে কিন্তু নোয়াতে।
চন্দ্রমুখী। তুই আশীর্ব্বাদ কর, আমার সেই অদেষ্টই হক।
দাসী। ওমা ছিঃ কি বল মা। হ্যেঁ গা মা! ঐয়ে দাদাবাবুর শিখ দেখা যাচ্চে। দেখ দেখ, পাছে শিখ দেয়ালে