পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা প্রথম খণ্ড.pdf/৭২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 8 ब्रॉभद्भांश्न ब्रांम्न পর-বৎসর, অর্থাৎ, রামমোহনের বয়স যখন ১৫, তখন তিনি অন্য প্রকার ধৰ্ম্ম দেখিবার মানসে পিতৃগৃহ ত্যাগ করিয়া দুই-তিন বৎসরের জন্তু তিব্বতে গিয়াছিলেন,—ডাঃ কাপেণ্টার এই কথা রামমোহনের মুখে শুনিয়াছিলেন বলিয়। উল্লেখ করিয়াছেন । কিন্তু রামমোহন র্তাহার কোন রচনাতেই নিজমুখে তিব্বত-ভ্রমণের কথা বলেন নাই । তাহার প্রথম-জীবনের ভ্রমণ সম্বন্ধে, ১৮০৩-৪ খ্ৰীষ্টাব্দে প্রকাশিত তুহফাং-উলমুয়াহু হিীনে এইরূপ লিথিয়াছেন : আমি পৃথিবীর সুদূর প্রদেশগুলিতে, পাৰ্ব্বত্য ও সমতল ভূমিতে পৰ্য্যটন করিয়াছি । ১৭৯১ খ্ৰীষ্টাব্দের কাছাকাছি রামকান্ত রায় তিন স্ত্রী, তিন পুত্র ও দৌহিত্র সহ রাধানগরের পৈতৃক বাড়ী ছাড়িয়া চলিয়া ধান এবং নিকটেই লাঙ্গুলপাড়া গ্রামে নূতন বাড়ী স্থাপন করেন । কি কারণে রামকান্ত পৈতৃক ভিটা ত্যাগ করেন, তাহা জানা যায় না । তবে রাধানগরের বাড়ীতে স্থানাভাব ইহার একটি কারণ হইতে পারে । এই সময়ে রামকাস্তের অবস্থা খুব সচ্ছল ছিল । তিনি ১৭৯১ খ্ৰীষ্টাব্দের মে মাসে কোম্পানীর নিকট হইতে নয় বৎসরের জন্ত ( ইং ১৭৯১-১৮০০ ) ভুরকুট পরগণা ইজারা লন । রামকাণ্ডের জ্যেষ্ঠ পুত্র জগমোহন এই ইজারার জন্ত পিতার জামিন হন । রামকান্ত পুত্রদিগকে অল্প বয়স হইতেই বিষয়কৰ্ম্মে শিক্ষা দিতে আরম্ভ করেন। ১৭৯৪ খ্ৰীষ্টাব্দে মেদিনীপুরের চেতোয় পরগণায় হরিরামপুর নামে একটি বড় তালুক জগমোহন রায়ের নামে কেনা হয় । ১৭৯২-৯৫ খ্ৰীষ্টাক্সে রামমোহন কোথায় কি করিতেছিলেন, জানা যায় না বটে, তবে ২২ মার্চ ১৭৯৬ তারিখ দেওয়া তাহার লিখিত একখানি বাংলা চিঠি হইতে আমরা জানিতে পারি যে, এই সময়ে তিনিও পিতার বিষয়সম্পত্তির তত্ত্বাবধান করিতেছিলেন ।