পাতা:জগজ্জ্যোতি বা নুরজাহান.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ So J ত একেবারে পাগলের মত হইয়াছে। আবার যদি নূবজাহানকে অনা কাহার সহিত বিবাহ দি, ভাস্কা হইলে সেলিমকে প্রাণে বাঁচান ভার হইয়া উঠিবে। প্রিয় পুত্র জাহাঙ্গীরের মৃত্যু আমি সহ্য করিতে পারি, কিন্তু এ বুদ্ধাবস্থায় লোকাবাদ সহ্য করা অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার দেখচি। মীরজা। নূরজাহান অতি সামান্য লোকের কন্যা বটে, কিন্তু উহার রূপ লাবণ্য দেখিয়া কোন ব্যক্তি না উহাকে বিবাঙ্গ করিতে ইচ্ছা করে ? আকবর। সে যাহা হউক, নূরজাহানের সহিত সেলিমের বিবাহ কোন প্রকারেই দেওয়া যাইতে পারে না । কারণ তাঙ্গা হইলে, প্রজারা এই রব তুলে দেবে যে আকৃবার সাবুদ্ধাবস্থায় দুৰ্ব্বল হইয়া পড়িয়াছেন, ভাঙ্গ না হইলে কি একটি সামান্য বণিকের কন্যার সহিত রাজকুমারের বিবাহ দেন ? মীরজা। আপনি পরলোকে গমন করিলে জাহাঙ্গীর অনায়াসেই নূরজাহানকে বিবাহ করিতে পারিবে । আকবর। মন্ত্রীবর, আমি এ বেশ বলিতে পারি, ষে আকৃবর সার পুত্রের স্বভাব এরূপ নীচ নয় যে, সে পরস্ত্রীর মুখ দর্শন করবে। আর যদি আপনি সে আশঙ্কা করেন, ভাঙ্গ হইলে, সেলিমের একটি সামান্য ভূভোর সহিত আমি নুরজাহানের বিবাহ দিব, তাহা হইলে সে এজন্মে নূরজাহারের কথা আর মুখে আনবে না। মীরজা । আজ্ঞে ইঁ্য এ উত্তম পরামর্শ। আকবর । উঃ কথা কহিতে কহিতে বেলা প্রায় একটা বেজে গেল, এখন তবে আপনি আসুন। (উভয়ের প্রস্থান )