পাতা:পঞ্চরাত্র - গুরুবন্ধু ভট্টাচার্য্য.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পঞ্চরাত্র

 ঐ দেখ, বৃক্ষলতা ও গুল্ম পরিপূরিত সমগ্র উপবনটি ভোজ্য বস্তুর ন্যায় নিঃশেষে ভক্ষণ ক’রে, আচমন করার জন্যই যেন অগ্নিদেব এখন কুশমাত্র অনুসরণ ক’রে নদীতে অবতীর্ণ হয়েছেন।

 দ্বিতীয়। ঐ দেখ, তরু-লম্বিত কুশ ও বল্কলের সাহায্যে অগ্নি বৃক্ষ থেকে বৃক্ষান্তরে গমন কচ্ছে, এবং পাকা ফলের ন্যায় পোড়া কলাগুলি কলাগাছ থেকে নীচে পড়ছে। আবার ঐ দেখ, সম্মুখে তালগাছটার আগায় একটা প্রকাণ্ড মৌচাক—অনেকক্ষণ ধরে গোড়া জ্বলে জ্বলে এখন মৌচাকটা শুদ্ধ মহাদেবের পরশুর ন্যায় সমস্ত গাছটা পড়ে গেল।

 তৃতীয়। বাঁচা গেল। সাধু ব্যক্তির রোষের ন্যায় ভগবান হুতাশন এখন প্রশান্ত হয়েছেন।

 বিভব ক্ষীণ হ’লে উন্নতমন ব্যক্তির যেমন দানশক্তি ক’মে যায়, সেইরূপ ইন্ধন শেষ হ’য়ে যাওয়াতে অগ্নির তেজও ক’মে গিয়েছে।

 প্রথম। অমিত ব্যয়ের ফলে দরিদ্র হ’য়ে লোক যেমন পরিশেষে স্বীয় পরিচ্ছদ বিক্রয় ক’রে জীবন ধারণ করে (খায়), তদ্রূপ হুতাশনও এখন স্রুক, ভাণ্ড, অরণী ও দর্ভ ভক্ষণ কচ্ছেন।