বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জাতিবিচার - সেখ গিয়াসুদ্দীন আহম্মদ.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o জাতিবিচার । দিগকে কোন গুপ্ত কারণে ঘৃণা করিয়া থাকেন। আর গে-কোরৰাণীর সময় হিন্দুগণ অনর্থক আপত্তি করে, কেন যে আপত্তি করে; তাহা আমরা বুঝিতে পারি না, গো-কোরবাণী ও গোমাংস ভক্ষণ হিন্মুদিগের শাস্ত্রে আছে কি না, তাহ পরে বলিতেছি শ্রবণ করুন । যখন তাহারা এ সম্বন্ধে নানা প্রকার অলীক যুক্তি, তর্ক ও প্রমাণ প্রয়োগে বিশেষ কোন ফল লাভ করিতে পারেন না, তখন মুসলমানের ধৰ্ম্মশাস্ত্রে হস্তক্ষেপ করিয়া নিজেদের অভীষ্ট্রসিদ্ধির মানসে শাস্ত্রের বিপরীত ব্যাখ্যা করিয়া অনধিকার চর্চা করিতেও কিছুমাত্র লজ্জ বোধ করেন না। ভগবান করেন, সে সকল ক্রমান্বয়ে দেখাইবার চেষ্ট্র। পাইব । এক্ষণে জি জ্ঞাস্ত,— বাস্তবিকই কি গোবধে তোমাদের প্রাণে আঘাত লাগিয়া থাকে ? তাই মুসলমানের ধৰ্ম্ম কাৰ্য্য গো-কোরবাণী বন্ধ করিবার নিমিত্ত তাহীদের প্রতি নানা প্রকার ছল, বল, কৌশল, অত্যাচার, উৎপীড়ন আরম্ভ করিয়া দাও ? ইহাত কখনই বিশ্বাস করা যায় না, যে হেতু বৎসরের ৩৬৫ দিন সহস্ৰ সহস্ৰ গে। হত্য। করিয়া তাহার মাংস প্রকাশ্য হাটে বাজারে, রাস্তায় বিক্রীত হইতেছে, প্রতিনিযুত ওtহ তোমরা দর্শন করিতেছ। অথচ সে জন্ত শোক প্রকাশ ত দূরের কথা, একটী দীর্ঘনিঃশ্বাস পর্য্যন্তও তোমাদের কাহাকেও ত্যাগ করিতে দেখা যা ন এবং কলিকাতায় এমন অনেক হিন্দু আছেন, যাহার। উক্ত মাংস সাদরে ক্রয় করেন, কেবল বৎসরে এক দিন কোরবাণী উপলক্ষে হঠাং তোমাদের অনেকেরই ধৰ্ম্মশোক প্রবল ৰগে উথলিয়া উঠে এবং কোথায় কোন মুসলমান কেন নিভূক্ত