পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e و \ এসে আমাদের পাশে উপস্থিত হ’ল । গরু দু'টির রকম দেখে বোঝা গেল তার আমাদের মানুষ ছাড়া, অন্য কোন জীব ঠাউরেছে । তিন জন পর-পর পাশ কাটিয়ে চ’লে যাওয়ার পর গরু দুটি ভয় পেয়ে হঠাৎ একবারে ঘুরে মাঠে নেমে পড়ল, আর সেই সঙ্গে আনন্দর সাইকেলের সামনের চাকা গরুর গাড়ীর পিছনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এমন বেঁকে গেল যে সাইকেল একবারে অচল হ’য়ে পড়ল। তখন বেলা পাঁচটা—আসানসোল আটাশ মাইল দূরে-এরূপ দুর্ঘটনার জন্য প্রস্থত ছিলাম না। সাইকেলের রিমের এরকম অবস্থা দেখে ভারী মুস্কিলে পড়লাম। কারণ এ-কে মেরামত করতে যে সরঞ্জামের দরকার তা সাইকেলে ব’য়ে আনা সম্ভবপর নয়, কাজেই আমাদের সঙ্গে তা ছিল ন । যাই হোক কোন উপায় না দেখে আমরা বিনা সরঞ্জামে যতদূর সম্ভব মেরামতের চেষ্টা ক’রে অকৃতকাৰ্য্য হ’য়ে যখন ট্রেণে সাইকেলখানিকে পাঠাবার জন্য ষ্টেশনের গোজে কাছের এক গ্রামে যাওয়ার আয়োজন করছি, তখন হঠাৎ বৰ্দ্ধমানের দিক থেকে একখান! মোটর লরী আসছে দেখতে পেলাম । এলে তাকে ইসারা ক’রে থামান গেল। গাড়ীপানি নুতন। কলকাতা থেকে কিনে মোটর সাভিসের জন্য বরাবর পাঞ্জাবে নিয়ে যাচ্ছে । আমাদের নিজের অবস্থা বুঝিয়ে তাদের সঙ্গে একট রফা ক’রে, সাইকেল শুদ্ধ আনন্দকে ঐ লরীতে আসানসোলে পাঠানর ব্যবস্থা করা গেল । ধখন তিন জনে সব হ্যাঙ্গাম মিটিয়ে সাইকেলে উঠ লাম তখন সন্ধ্যা হয় হয়। মাইল দুই আসার পর যখন দুর্গপুরের জঙ্গলে ঢুকুলাম তখন বেশ অন্ধকার হয়ে গেছে। আলো জালতে হ’ল । রাস্তাটি হটাৎ ঢালু হ’য়ে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে চলেছে। দু’পাশে বড় বড় গাছ দৈত্যের মতো মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে। সমস্ত নিস্তব্ধ, কেবল সাইকেলের সে সে শব্দ যেন এই নিস্তব্ধতায় আরও বেড়ে উঠল। অন্যমনস্ক হ’য়ে ঢালু রাস্তায় পর পর তিন কাছে জন চলেছি, কতক্ষণ তা মনে নেই । চমক ভাঙল যখন দেখি আমরা পরম্পরের ঘাড়ের উপর । ধুলো ঝেড়ে উঠে দেখি সাইকেল তিনখানি তিন জায়গায় পড়ে ঘুরছে। প্রবাসী—শ্রোবণ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড | হঠাৎ এ বিপত্তির কারণ আর কিছু নয়, রাস্তা মেরামত্ব হওয়ার দরুণ বড় বড় গাছের গুড়ি ও ডাল-পালা-ফেলা বন্ধ রাস্তার ওপরে সাইকেল ক’রে যাবার আমাদের অন্যাস চেষ্টা । পরে আরও অনেক জায়গায় দেখেছিলাম P. W. 10., No Throughfare ag caffè» (anfa t'ças দেয় | জঙ্গল পার হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে রাস্তা খারাপ ও উচু ন}, হতে শুরু হ’ল। দু’পাশে অন্ধকারে ঢাকা মাঠে এখানে সেখানে কুয়লী-স্তপের আগুনের অস্পষ্ট আলোয় কুলার জটলা করছে। থেকে থেকে তাদের মাদলের বাজন শোনা যাচ্ছে। বুঝতে পারলাম আমরা কয়লা খনিং দেশে এসে পড়েছি । ক্রমশঃ চাদের ক্ষীণ আলে। মেপ, দিল । অ গুলি ছাড়িয়ে রাণীগঞ্জে চা খেয়ে নেওয়া ধাপে মনে করলাম কিন্তু রাস্ত থেকে ষ্টেশন পাচ ছ’ দুর শুনে একবারে আসানসোলের দিকে পাড়ি দিলাম । আসানসোলের কয়েক মাইল দূর থেকে Collity ( কোলিয়ারির) সাহেবদের মোটরের চোখ-ঝলসান আলে আমাদের ব্যতিব্যস্ত ক’রে তুললে | অশোকের সাইকেলৈ? : ফ্রি হুইল আবার গোলমাল সুরু করূলে । বোঝ। :ে , আসানসোলে রীতিমত সংস্কার না কবুলে এর দ্বারা অং কাজ চলবে না। কাকুসা থেকে বেরিয়ে অবধি একটা ন হাঙ্গাম লেগেই রয়েচে । মিউনিসিপ্যালিটা ও ষ্টেশনে । আলো দেখতে দেখতে, আমরা পিচ দেওয়া রাস্তা দি’ সহরের মধ্যে এসে পড়লাম। তখন রাত দশটা ৷ রাস্তার ওপরে এক সাইকেলের দোকানে আনন্দকে দেখে আমব ! নেমে পড়লাম। সাইকেল মেরামত আরম্ভ হ’য়ে ag牌 দেখে বৰ্দ্ধমানের বন্দোবস্ত-অনুযায়ী নিরঙ্কর আত্মীয় শম্ভুক্ত な,i5ci . হায়রানের পর কয়েক পেয়ালা চা অমৃতের মতে মনে হ’ল । আজ ৬৬ মাইল আসা গেছে। কলকাতা থেকে মোঃ ১৩৯ মাইল আসা হ’ল । ২৫শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার—সকালে উঠে চ খেতে ম’ বাজ ল । মিস্ত্রীকে তাড়া দেবার জন্য সকলে তার দোকা উপস্থিত হ’লাম । এসে শুনলাম সামনের ফর্কটি (For