এই বলতে বলতে একজন লম্বা এবং রোগা গোছের ভদ্রলোক বেরিয়ে এলেন। তাঁর গায়ে একটা ছেঁড়া জামা, একটা হাতা লম্বা, আর একটা ইঁদুরে কেটে অর্দ্ধেক করে ফেলেছে। মুখ শুকনো। প্রকাণ্ড গোঁফ জোড়াটি সিন্ধু-ঘোটকের দাঁতের মত নীচের থেকে ঝুলে প’ড়েছে। তিনি দুটি অপরিচিত লোককে দেখেই জিজ্ঞেস করলেন, “এত রাতে কি চাও তোমরা?“
সাধু একটা নমস্কার করে বললেন, “মহাশয়ের নাম শুনেছি। আজ রাত্রের মত একটু আশ্রয় চাই।“
“আশ্রয়? ও সব এখানে হবে না। সরাই আছে, সেইখানে যাও।“
সাধু বললেন, “পয়সা নেই, মশাই, কাজেই সরাইমুখো আর হইনি। তা মহাশয়ের এখানেই আজ রাতে—কি বল জডিগ?“
জডিগ তার কি বলে? কর্ত্তার মুখ দেখেই তার ক্ষুধা পালিয়ে গেছে। তবুও কাষ্ঠ হাসি হেসে বললে, “কাজেই।“
তখন সাধু ঘরে ঢুকতেই বাড়ীর কর্ত্তা দরজা দুহাতে আগুলে বললেন, “বেরোও আমার বাড়ী থেকে! বেরোও—ভণ্ড তপস্বী, চোর জোচ্চোর!“আরো বোধ হয় কিছু তার বলবার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু জডিগের রুক্ষমূর্ত্তি দেখে কিছু বলতে