পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

αν". প্রবাসী— শ্রোবণ, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড সম্পূর্ণরূপে ভারতবর্ষ হইতে লব্ধ টাকার সাহায্যে এবং প্রধানতঃ ভারতীয় লিপাহীদের সহায়তায় অধিকৃত হইয়াছে। ইহ। আমরা লজ্জার সহিত বলিতেছি । আমাদের পায়ের বেড়ী আমাদেরই জাতভাইয়ের পরাইয়াছে বলায় কোন গৌরব নাই ;–কেবল ঐতিহাসিক সত্যের খাতিরে বলিতেছি । ভারত-রক্ষার জন্ত সৈন্যও প্রধানতঃ ভারতবর্যই জোগাইয়াছে। এখনও উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে যত সৈন্য আছে, তাহার অধিকাংশ ভারতীয় । ইংরেজরা এই দাবী করিতে পারে বটে, যে, ভারত রক্ষার কাজ ইংরেজ সেনাপতিদের নেতৃত্বে হইয়া থাকে । কিন্তু তাহার কারণ ভারতীয়দের নেতৃত্বের অধোগ্যতা নহে—সেনাপতির কাজ করিবার উপযুক্ত লোক এখনও ভারতবর্ষে পাওয়া যাইতে পারে । ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্ট, ভারতীয়দিগকে বিশ্বাস করে না, তাহাদিগকে উচ্চ কাজে নিযুক্ত করিলে তাহারা নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ বৰ্ত্তমান সময়েও জগতের চোখের সামনে ধরিবে, ইহা তাহার চায় না, প্রভুত্ব ও প্রচুর অর্থ-উপার্জনের উপায় ভারতীয়দের হাতে চলিয়া যায়, ইহা ব্রিটিশ গবর্ণ মেণ্টের অভিপ্রেত নহে ;–এইসকল কারণে সেনা-নায়কের কাজে ভারতীয়ের নিযুক্ত হয় না । গত আট বৎসরে একাশী জনকে নীচেরদিকের কয়েকটি পদে নিযুক্ত করা হইয়াছে বটে ; কিন্তু এখনও তিন হাজার তিন শত ইংরেজ অফিসার ভারতে সেনা-নায়কের কাজ করে । এই কাজগুলি ব্রিটিশগবর্ণমেণ্ট থাকিতে-থাকিতে যদি কখনও ভারতীযদের হাতে আসে, তাহা হইলেও সবগুলি পাইতে সাধারণ ত্রৈরাশিক-অনুসারে তাহাদের তিন শত ছাব্বিশ বৎসর লাগিবে । যদি ইহা সত্য হইত, যে, এপর্য্যন্ত একমাত্র ইংরেজরাই ভারতবর্ষ রক্ষা করিয়া আসিতেছে, তাহা হইলে ও ইঙ্ক কেমন কথা, যে, ভবিষ্যতেও তাহাদিগকেই এই কাজ করিতে হুইবে ? ভারতীয়েরা কখনও সম্পূর্ণরূপে আত্মরক্ষায়,সমর্থ হইবে না, মনে করিলে, তাহাদের মতুয্যত্বসম্বন্ধে কিরূপ নীচ ধারণা প্রকাশ পায়, তাহা বলিতে হুইবে না । তা-ছাড়া, ইংরেজ যে ভারতরক্ষা করিতেছে বলিতেছে, তাহ ত আমাদের উপকারার্থ নহে ; নিজের সম্পত্তি রক্ষা-হিসাবে করিতেছে। অতএব, লর্ড বার্কেনহেডের মনোগত অভিপ্রায় এই, যে, চিরকাল ভারতবর্ষ ব্রিটেনের পদানত হইয়া থাকুক এবং তাহার ধনসম্পত্তি ইংরেজদের হস্তগত হইতে থাক । এই অল্পদিন আগে লর্ড বার্কেনহেড ইংরেজ ও ভারতবাসীর মধ্যে সহযোগিত। এবং সমান-অংশিতার কথা আওড়াইতেছিলেন। এখন যে মনের কথাটা খুলিয়া বলিয়াছেন, তাহা আমাদের পক্ষে ভালই। ভারতবর্ষে অনেক নামজাদ লোক আছেন, র্যাদের চোখ কোন মতেই ফুটিতে চায় না—যাহারা না-দেখিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তাঙ্গাদের মত অন্ধ আর কে হইতে পারে ? উচ্চপদস্থ ইংরেজরা বার-বার খাটি মনের কথাটা বলিলে, ইংরেজদের মিষ্ট কথায় “গলায়মান” এইসব লোকের ৪ হয়ত কালক্রমে চেতনা হইতে পারে । ইংরেজদের ভারত-আগমনের কারণ ইরেজরা ভারতবর্ষে কেন আসিয়াছিল, সে-সম্বন্ধে ভারত-সচিব লর্ড বার্কেনহেড বলেন :– "The fundamental fact in the Indian situation Ithat we went to India centuries ago lo cominising with , the sharn “life of the sword differences whiel would have, submerged and destroyel the Indian “ivilization. Wo went there on that hasis and hold it by that chilrter, and it is true to say today that if we left India tomorrow it will be submerged by the satue anarchival and murderous disturbances as in the slays of ("live.” তাৎপর্য্য। “ভারতবর্ষের বর্তমান অবস্থার ভিওঁীভূত তথ্য এই যে, আমরা অনেক শতাব্দী পুৰ্ব্বে, যে-সব ঝগড়া-বিবাদ ভারতীয় সভ্যতাকে ডুবাইয়া ও বিনষ্ট করিয়া দিতে পারিজ, তাহ তলোয়ারের উল্প ধারের দ্বার fমটাইয়া দিবার জন্ত ভারতবর্ষে গিয়াছিলাম। ঐ মুগীভূত কারণে BBK BBB BmmDBBBS BB BBB LLLSBB BBBB BDDS gBBBBB अक्षिकांग्न कब्रिग्न| श्रlश् ि; ७वः श्रांछ ईश्! क्लl गङा. cग, श्रांभब्र। शनिं ক{ল ঐ দেশ ছাড়িয়া আসি তাছা হইলে ক্লাইবের দিনের মত এখনও অরাজকতা-মুলক, নরহত্য-প্রণোদিত উপত্ৰৰে উদ্ধা ডুবিয়া যাইবে । একনিঃশ্বাসে এত বড় ঐতিহাসিক অসত্য প্রচার করা কম অজ্ঞতা ও দাম্ভিকতার পরিচায়ুক নহে । ইংরেজ রাজত্বের প্রথম যুগে ইংলণ্ডের রাজা সাক্ষাৎসম্বন্ধে এদেশের প্রভু বা শাসক ছিলেন না ; ঈস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানী এদেশে প্রথমে ইংরেজ-রাজত্ব স্থাপন করিয়া ১৮৫৭ সাল পর্য্যঞ্জ শাসন করিয়াছিল ।