পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় রচনাবলীর বর্তমান খণ্ডে মুদ্রিত গ্রন্থগুলির প্রথম প্রকাশের তারিখ ও রচনাংক্রান্ত অন্যান্য জ্ঞাতব্য তথ্য গ্রন্থপরিচয়ে সংকলিত হইল । প্রান্তিক ‘প্রাস্তিক’ ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থের প্রায় সব কয়টি কবিতাই ১৯৩৭ সেপ্টেম্বর মাসের সংকটাপন্ন রোগ হইতে মুক্তিলাভের অব্যবহিত পরে রচিত হয়। ১৪, ১৫ এবং ১৬ -সংখ্যক কবিতা কয়েক বৎসর পূর্বের রচনা। ১৪-সংখ্যক কবিতাটি ‘চাঁদপুর যুনিয়ন ইনষ্টিটুটে ত্রিসপ্ততিতম রবীন্দ্র-জন্মোৎসবে কবিগুরুর আশীৰ্বাদবাণী’ রূপে প্রেরিত হয় । ১৫-সংখ্যক কবিতাটি বিচিত্রার ১৩৪১ কাতিক সংখ্যায় "শরৎ" নামে মুদ্রিত হয়। শেষসপ্তকের ২৩-সংখ্যক কবিতা ইহার গদ্য পাঠান্তর বলা যাইতে পারে। ১৬-সংখ্যক কবিতাটি ‘শেষ সপ্তক’ গ্রন্থের ৩৪-সংখ্যক কবিতার সহিত তুলনীয়। ১৩-সংখ্যক কবিতার দুইটি পূর্বপাঠ নিয়ে মুদ্রিত হইল— জন্মের দিন করেছিল দান তোমারে পরম মূল্য, রূপমহিমায় হলে মহীয়ান সূর্যতারার তুল্য। দূর আকাশের পথে যে আলোক এসেছে ধরার বক্ষে নিমেষে নিমেষে চুমি তব চোখ তোমারে বেঁধেছে সখ্যে । দূর যুগ হতে আসে কত বাণী কালের পথের যাত্রী, সে মহাবাণীরে লয় সম্মানি তোমার দিবসরাত্রি । —প্রবাসী। অগ্রহায়ণ ১৩৪৩, পৃ. ২৫০ জন্মের দিনে দিয়েছিল আজি তোমারে পরম মূল্য রূপসত্তায় এলে যবে সাজি, সুর্যতারার তুল্য। দূর আকাশের পথে ষে আলোক এসেছে ধরার বক্ষে নিমেষে নিমেষে চুমি তব চোখ তোমারে বেঁধেছে সখ্যে।