বাংলা সাহিত্যের এখন অত্যন্ত দুদিন, কারণ পাঠকের চেয়ে লেখকের জনসংখ্যা দিনে দিনে বাড়িয়া চলিয়াছে। বড়দের আসরে যে সব অপটু হাতের অক্ষম রচনার স্থান হয় না, তাই সামান্য অদলবদল করিয়া ‘শিশু সাহিত্য’ বলিয়া চালাইবার চেষ্টা চলিতেছে এইটাই বিশেষ আশঙ্কার কথা । ছোটদের মন বুঝিয় তাহাদের উপযোগী কথাসাহিত্যের যোগান দেওয়া যে অধিকতর দুঃসাধ্য কাজ, এ কথা অনেক নাবালকের বোধগম্য না হওয়াতেই যন্ত্রণা বাড়িয়াছে বেশী। তাই পুরাতন সূৰ্য্য যখন অস্তাচলে, তখন নবীনকে আহবান করিতেই হইবে, যে নবীনের আছে নূতন কৰ্ম্মপ্রেরণা ও অক্ষত উৎসাহ । এই বইখানির লেখক শ্ৰীমান ধৰ্ম্মদাসের লেখনীতে সেই শক্তির আভাস পাইয়াছি, যে শক্তির অনুসন্ধান আমরা করি। শিশু সাহিত্যে এই নবীন লেখকটি আমার নিজের আবিষ্কার, তাই তাহার যাত্রাপথে শুভকামনার জয়মাল্য অর্পণ করিতে আমার ইতস্ততঃ করিবার কথা নয়। তরুণ পাঠকবর্গ এবং তাহাদের অভিভাবকদের আমি এই বলিয়া আশ্বস্ত করিতে পারি যে, অপাঠ্য বইয়ের ভিড়ে সত্যকারের শিশুদের উপযোগী একখানি সুপাঠ্য গল্পসঞ্চয়ন পাওয়া গিয়াছে। বড়দিন ১৯৩৮ ভাইবোন কাৰ্য্যালয় শ্রীপ্রভাতকিরণ বস্তু ৭, রাজাবাগান ষ্ট্রট, কলিকাতা
পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/৫
অবয়ব