বস্থার মুখে ব্ৰতী বালক 8\ළු ব’সে থাকবার সময় নেই ; চারিদিক থেকে বন্যার গর্জনের সঙ্গে স্থর মিশিয়ে শত শত নরনারীর ভয়াৰ্ত্ত আৰ্ত্তনাদ এদের প্রাণকে ব্যথিত করে তুলল ; বান তখন গ্রামে ঢুকতে মুরু হ’য়েছে ; সমস্ত জায়গায় একহাটু করে জল । জল বেড়েই চলেছে ; খানিক পরেই হয়ত একমানুষ জলের নীচে গ্রাম ডুবে থাকবে । কিন্তু তার জন্যে ত ভয় পেয়ে এর ঘরে বসে থাকতে পারে মা ; কে কোথায় সাহায্যের জন্যে আৰ্ত্তনাদ করছে এই দেখবার জন্যে জল কেটে কেটে তার ঘুরে বেড়াতে লাগলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই সমস্ত গ্রামে একগলা জল জমে গেল ; আর হেঁটে চলা যায় না । সকলে পাশাপাশি সাতার দিয়ে চ’ললো । একবার এক একজন চীৎকার করে ওঠে—সাবধান, সাপ ! বন্যার জলের সঙ্গে বড় বড় সাপ ভেসে আসছে ; তাদের একটা ছোবলই মানুষকে মেরে ফেলার পক্ষে যথেষ্ট । তখন বেলা আটটা কি ন’টা ; এদের মনে হ’ল এতগুলো লোক যে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে, তারা খাবে কি ? সমীর, জ্যোতিষ প্রভৃতি সাতরে গিয়ে উপস্থিত হ’ল, পুকুরের উচু পাড়ে, যেখানে গ্রামের বেশিরভাগ লোক আশ্রয় নিয়েছিল । তাদের ডেকে জিজ্ঞেস করলে—আচ্ছা, আপনাদের সঙ্গে খাবার আছে ত’ ? গ্রামবাসীরা স্নান হেসে, পুরানো কথারই প্রতিধ্বনি করল–গায়ে তুর্ভিক্ষ ; খাবার, টাকা-কড়ি কিছু নেই।
পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/৫১
অবয়ব