পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঔ88 . রূৰীক্স-রচনাবলী লাভ করে—নিজেকে শক্তিহীন বলে বাইরের দিকে ভিক্ষাপাত্র তুলে ধরে বৃথা জাক্ষেপে কাল হরণ করে না—তোমার সামান্ত যা সম্বল আছে তা রাজার ঐশ্বর্ধকে লজ দেবে। >> ¥ों सुन পরশরতন র্তার নাম পরশরতন পাপি-হৃদয়-ভাপহরণ— প্রসাদ তার শান্তিরীপ ভকতক্রদয়ে জাগে । সেই পরশরতনটি প্রাতঃকালের এই উপাসনায় কি আমরা লাভ করি ? যদি তার একটি কণামাত্রও লাভ করি তবে কেবল মনের মধ্যে একটি ভাবরসের উপলব্ধির মধ্যেই তাকে আবদ্ধ করে যেন না রাখি। তাকে স্পর্শ করাতে হবে—তার স্পর্শে আমার সমস্ত দিনটিকে সোনা করে তুলতে হবে। দিনের মধ্যে ক্ষণে ক্ষণে সেই পরশরতনটি দিয়ে আমার মুখের কথাকে স্পর্শ করাতে হবে, আমার মনের চিন্তাকে স্পর্শ করাতে হবে—আমার সংসারের কর্মকে স্পর্শ করাতে হবে । তাহলে, যা হালকা ছিল একমুহূর্তে তাতে গৌরব সঞ্চার হবে, যা মলিন ছিল তা উজ্জল হয়ে উঠবে, যার কোনো দাম ছিল না তার মূল্য অনেক বেড়ে যাবে। আমাদের সকালবেলাকার এই উপাসনাটিকে ছোয়াব, সমস্তদিন সব-তাতে ছোয়াব— র্তার নামকে ছোয়াব, তার ধ্যানকে ছোয়াব, “শাস্তম্ শিবম্ অদ্বৈতম্” এই মন্ত্রটিকে ছোয়াব, উপাসনাকে কেবল হৃদয়ের ধন করব না—তাকে চরিত্রের সম্বল করব, তার দ্বারা কেবল স্নিগ্ধতালাভ করব ন+—প্রতিষ্ঠালাভ করব । লোকে প্রচলিত অাছে প্রভাতের মেঘ ব্যর্থ হয়, তাতে বৃষ্টি দেয় না। আমাদের এই প্রভাতের উপাসনা যেন তেমনি ক্ষণকালের জন্ত আবিভূত হয়ে সকালবেলাকার হাওয়াতেই উড়ে চলে না যায়। W কেননা, যখন রৌদ্র প্রখর তখনই স্নিগ্ধতার দরকার, যখন তৃষ্ণ প্রবল তখনই বর্ষণ কাজে লাগে । সংসারের ঘোরতর কাজের মাঝখানেই শুষ্কতা জালে, দাহ জন্মায়। ভিড় যখন খুব জমেছে, কোলাহল যখন খুব জেগেছে তখনই আপনাকে হারিয়ে ফেলি।