পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ॐ२ রবীন্দ্র-রচনাবলী শক্তির অপূর্বত চড়া গলায় প্রমাণ করবার জন্তে স্বাক্টছাড়া অভূতের সন্ধান করতে থাকে। সেদিন কোনো একজন বাঙালি হিন্দু কবির কাব্যে দেখলুম, তিনি রক্ত শব্দের জায়গায় ব্যবহার করেছেন ‘খুন’ । পুরাতন ‘রক্ত’ শব্দে তার কাব্যে রাঙা রঙ যদি না ধরে তা হলে বুঝব, সেটাতে তারই অকৃতিত্ব। তিনি রঙ লাগাতে পারেন না বলেই তাক লাগাতে চান। নতুন আসে অকস্মাভের খোচ দিতে, নবীন আসে চিরদিনের আনন্দ দিতে । সাহিত্যে এইরকম নতুন হয়ে ওঠবার জন্যে যাদের প্রাণপণ চেষ্টা তারাই উচ্চৈঃস্বরে নিজেদের তরুণ বলে ঘোষণা করেন । কিন্তু, আমি তরুণ বলব তাদেরই ধাদের কল্পনার আকাশ চিরপুরাতন রক্তরাগে অরুণবর্ণে সহজে নবীন, চরণ রাঙাবার জন্তে ধাদের উষাকে নিযুমার্কেটে ‘খুন ফরমাশ করতে হয় না। আমি সেই তরুণদের বন্ধু, তাদের বয়স যতই প্রাচীন হোক। আর যে-বৃদ্ধদের মরচে-ধরা চিত্তবীণায় পুরাতনের স্পশে নবীন রাগিণী বেজে ওঠে না তাদের সঙ্গে আমার মিল হবে না, তাদের বয়স নিতান্ত কাচা হলেও । এই পরিষদ সকল বয়সের সেই তরুণদের পরিষদ হোক। পুরাতনের নৰীনতা বুঝতে তাদের যেন কোনো বাধা না থাকে । ১৩৩৪ সাহিত্যরূপ আজ এই সভা আহবান করা হয়েছে এই ইচ্ছা করে যে, নবীন প্রবীণ সকলে মিলে । সাহিত্যতত্ত্ব আলোচনা করব ; কোনো চরম সিদ্ধান্ত পাকা করে দেওয়া বাবে তা মনে করে নয়। অনেক সময়ে আমরা ঝগড়া করি পরস্পরের কথা স্পষ্ট বুঝি না বলে। শুধু তাই নয়, প্রতি পক্ষের মনে ব্যক্তিগত বিরুদ্ধতা আমরা অনেক সময়ে কল্পনা করে নিই ; তাতে করে মতান্তরের সঙ্গে মনান্তর মিশে যায়, তখন কোনোপ্রকার আ েপায হওয়া অসম্ভব হয়ে ওঠে। মোকাবিলায় যখন আলোচনায় প্রবৃত্ত হব তখন আশা করি এ কথা বুঝতে কারও বিলম্ব হবে না যে, ষে-জিনিসটা নিয়ে তর্ক করছি সেটা আমাদের দুই পক্ষেরই দরদের জিনিস, সেটা বাংলাসাহিত্য। এই মূল জায়গায় আমাদের মিল আছে । এখন অমিলট কোথায় সেটা শান্তভাৰে স্থির করে ८गथां भद्रकांद्र ! +