পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●●も রবীন্দ্র-রচনাবলী ব্যোম কছিল,—বিলাতি হিসাবের কৃতজ্ঞতা জামাদের দেবতাদের প্রতিও নাই । যুরোপীয় যখন বলে খ্যাঙ্ক, গড, তখন তাহার অর্থ এই, ঈশ্বর যখন মনোযোগপূর্বক আমার একটা উপকার করিয়া দিলেন তখন সে উপকারটা স্বীকার না করিয়া বর্বরের মতো চলিয়া যাইতে পারি না। আমাদের দেবতাকে আমরা কৃতজ্ঞতা দিতে পারি না, কারণ, কৃতজ্ঞতা দিলে তাহাকে অল্প দেওয়া হয়, তাহাকে ফাকি দেওয়া হয়। তাহাকে বলা হয়, তোমার কাজ তুমি কৰিলে, আমার কর্তব্যও আমি সারিয়া দিয়া গেলাম । বরঞ্চ স্নেহের এক প্রকার অকৃতজ্ঞতা আছে, কারণ, স্নেহের দাবির অন্ত নাই। সেই স্নেহের অকৃতজ্ঞভাও স্বাতন্ত্র্যের কৃতজ্ঞতা অপেক্ষা গভীরতর মধুরতর। রামপ্রসাদের গান আছে, তোমার মা মা বলে আর ডাকব না, জামায় দিয়েছ দিতেছ কত যন্ত্ৰণ । এই উদার অকৃতজ্ঞতা কোনো য়ুরোপীয় ভাষায় তরজমা হইতে পারে না । ক্ষিতি কটাক্ষসহকারে কহিল,—যুরোপীয়দের প্রতি আমাদের যে অকৃতজ্ঞতা, তাহারও বোধ হয় একটা গভীর এবং উদার কারণ কিছু থাকিতে পারে। জড়প্রকৃতির সহিত আত্মীয়সম্পর্ক স্থাপন সম্বন্ধে যে কথাগুলি হইল তাহা সম্ভবত অত্যন্ত স্বন্দর ; এবং গভীর যে, তাহার আর সন্দেহ নাই, কারণ এ পর্যন্ত আমি সম্পূর্ণ তলাইয়া উঠিতে পারি নাই। সকলেই তো একে একে বলিলেন যে, আমরাই প্রকৃতির সহিত ভাবের সম্পর্ক পাতাইয়া বসিয়াছি আর যুরোপ তাহার সহিত দূরের লোকের মতো ব্যবহার করে ; কিন্তু জিজ্ঞাসা করি, যদি যুরোপীয় সাহিত্য ইংরেজি কাব্য আমাদের না জানা থাকিত তবে আজিকার সভায় এ আলোচনা কি সম্ভব হুইত ? এবং যিনি ইংরেজি কখনো পড়েন নাই তিনি কি শেষ পর্যন্ত ইহার মর্মগ্রহণ করিতে পারিবেন ? আমি কহিলাম,—ন, কখনোই না। তাহার একটু কারণ আছে। প্রকৃতির সহিত আমাদের যেন ভাইবোনের সম্পর্ক এবং ইংরেজ ভাবুকের যেন স্ত্রীপুরুষের সম্পর্ক। चांभब्रां छब्रांबथिई यांचौम्र, चांभब्रां चछांबडझे ७क । बांभब्रां डांहांग्र भरक्षा नव नय বৈচিত্র্য, পরিস্থায় ভাবচ্ছায়া দেখিতে পাই না, একপ্রকার অন্ধ অচেতন য়েছে মাখামাখি করিয়া থাকি। আর ইংরেজ, প্রকৃতির বাহির হইতে অস্তরে প্রবেশ করিতেছে । সে আপনার স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করিয়াছে ৰলিয়াই তাহার পরিচয় এমন অভিনৰ জানন্দময়, তাহার মিলন এমন প্রগাঢ়তর। সেও নববধূর স্তায় প্রকৃতিকে জায়ত্ত করিবার চেষ্টা করিতেছে, প্রকৃতিও তাহার মনোহরণের জন্য আপনার নিগূঢ় সৌন্দৰ উমাটিত