পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিরকুমার-সভা ર ( ૧ নবীন তরী নতুন চলে, দিই নি পাড়ি অগাধ জলে, বাহি তারে খেলার ছলে কিনার-কিনারায় । তরী আমার হঠাৎ ডুবে যায়। ভেসেছিল স্রোতের ভরে, এক ছিলেম কর্ণ ধ’রে— লেগেছিল পালের পরে মধুর মৃদু বায় । মুখে ছিলেম আপন মনে, মেঘ ছিল না গগনকোণে— লাগবে তরী কুসুমবনে ছিলেম সে আশায়। তরী আমার হঠাৎ ডুবে যায়। রসিক। যাক ডুবে, কী বলেন বিপিনবাবু। বিপিন। যাক গে, কিন্তু কোথায় ডুবল তার একটু ঠিকানা রাখা চাই। আচ্ছা রসিকবাবু, এ গানটা কেন তিনি খাতায় লিখে রাখলেন। রসিক। স্ত্রীহৃদয়ের রহস্য বিধাতা বোঝেন না এই রকম একটা প্রবাদ অাছে, রসিকবাবু তো তুচ্ছ । শ্ৰীশ । (নিকটে আসিয়া ) বিপিন, তুমি চন্দ্রবাবুর কাছে একবার যাও । বাস্তবিক, আমাদের কর্তব্যে আমরা ঢিল দিয়েছি– ওঁর সঙ্গে একটু আলোচনা করলে উনি খুশি হবেন। বিপিন । আচ্ছা । [ প্রস্থান শ্ৰীশ । হা, আপনি সেই-যে সেলাইয়ের কথা বলছিলেন– উনি বুঝি নিজের হাতে সমস্ত গৃহকর্ম করেন ? রসিক । সমস্তই । ত্রশ। আপনি বুঝি সেদিন গিয়ে দেখলেন তার কোলে বালিশের ওয়াড়গুলো পড়ে রয়েছে আর তিনি— রসিক। মাথা নিচু করে ছুচে স্থতো পরাচ্ছিলেন। শ্ৰীশ। ছুচে স্থতে পরাচ্ছিলেন। তখন স্নান করে এসেছেন বুঝি ? রসিক । বেলা তখন তিনটে হবে। শ্ৰীশ। বেলা তিনটে। তিনি বুঝি তার খাটের উপর বসে— রসিক। না, খাটে নয়, বারান্দার উপর মাদুর বিছিয়ে—