পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী مارچ বিপিন রসিকবাবু, আমাদের প্রতি অবিচার করবেন না— দায়ে পড়ে— রসিক। দায় নয় তো কী মশায়। সে কিছুতেই হবে না। আমি বরঞ্চ সেই ছেলেদুটোকে বনমালীর হাত ছাড়িয়ে কুমারটুলি থেকে এখনও ফিরিয়ে আনব, তবু— শ্ৰীশ । আপনার কাছে কী অপরাধ করেছি রসিকবাবু। রসিক। না না, এ তে অপরাধের কথা হচ্ছে না। আপনারা ভদ্রলোক, কৌমার্যব্রত অবলম্বন করেছেন— আমার অনুরোধে পড়ে পরের উপকার করতে এসে শেষকালে— “སི་།།། বিপিন। শেষকালে নিজের উপকার করে ফেলব এটুকু আপনি সহ করতে পারবেন না— এমনি হিতৈষী বন্ধু ! শ্ৰীশ । আমরা যেটাকে সৌভাগ্য বলে স্বীকার করছি। আপনি তার থেকে আমাদের বঞ্চিত করতে চেষ্টা করছেন কেন । রসিক । শেষকালে আমাকে দোষ দেবেন না। বিপিন। নিশ্চয় দেব, যদি না আপনি স্থির হয়ে শুভকর্মে সহায়তা করেন । রসিক । আমি এখনও সাবধান করছি— গতং তদগাম্ভীর্যং তটমপি চিতং জালিকশতৈ; সৰ্থে হংসোভিষ্ঠ ত্বরিতমমুতো গচ্ছ সরস । সে গাম্ভীর্য গেল কোথা, নদীতট হেরো হোথা জালিকেরা জালে ফেলে ঘিরে— সথে হংস, ওঠে ওঠে, সময় থাকিতে ছোটে হেথা হতে মানসের তীরে । ঐশ। কিছুতেই না। তা, আপনার সংস্কৃত শ্লোক ছুড়ে মারলেও সখা হংসর কিছুতেই এখান থেকে নড়ছেন না। রসিক । স্থান খারাপ বটে, নড়বার জো নেই। আমি তো অচল হয়ে বসে আছি— হায় হায়— অয়ি কুরঙ্গ তপোবনবিভ্ৰমাৎ উপগতাসি কিরাতপুীমিমাম। ভূত্যের প্রবেশ ভৃত্য । চন্দ্রবাবু এসেছেন। অক্ষয়। এইখানেই ডেকে নিয়ে আয় । [ ভূত্যের প্রস্থান রসিক। একেবারে দারোগার হাতে চোর-ফুটিকে সমর্পণ করে দেওয়া হোক ।