পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Φθίν' ब्रदौड-ग्नछमांबलौ ८बोक°ब्रवर्डौं श्न्नूिनभाख जांननांद्र बांश-किडू आ८छ् € हिल, ऊांशहे श्रारमॆघाd? রক্ষা করিবার জন্ত, পরসংস্রব হইতে নিজেকে সর্বতোভাবে অবরুদ্ধ রাখিবার জন্য নিজেকে জাল দিয়া বেড়িয়াছে । ইহাতে ভারতবর্ষকে আপনার একটি মহৎ পদ হারাইতে হইয়াছে। এক সময়ে ভারতবর্ষ পৃথিবীতে গুরুর আসন লাভ করিয়াছিল ; ধর্মে, বিজ্ঞানে, দর্শনে ভারতবর্ষীয় চিত্তের সাহসের সীমা ছিল না ; সেই চিত্ত সকল দিকে স্বত্বৰ্গম সুদূর প্রদেশসকল অধিকার করিবার জন্য আপনার শক্তি অবাধে প্রেরণ করিত । এইরূপে ভারতবর্ষ যে গুরুর সিংহাসন জয় করিয়াছিল, তাহা হষ্টতে আজ সে ভ্রষ্ট হইয়াছে— আজ তাহাকে ছাত্ৰত স্বীকার করিতে হইতেছে । ইহার কারণ, আমাদের মনের মধ্যে ভয় ঢুকিয়াছে। সমুদ্রষাত্রা আমরা সকল দিক দিয়াই ভয়ে ভয়ে বন্ধ করিয়া দিয়াছি— কি জলময় সমুদ্র, কি জ্ঞানময় সমুদ্র । আমরা ছিলাম বিশ্বের, দাড়াইলাম পল্লীতে । সঞ্চয় ও রক্ষা করিবার জন্য সমাজে যে ভীরু স্ত্রীশক্তি আছে, সেই শক্তিই কৌতুহলপর পরীক্ষাপ্রিয় সাধনশীল পুরুষশক্তিকে পরাভূত করিয়া একাধিপত্য লাভ করিল। তাই আমরা জ্ঞানরাজ্যেও দৃঢ়সংস্কারবদ্ধ স্ত্রৈণপ্রকৃতিসম্পন্ন হইয়া পড়িয়াছি। জ্ঞানের বাণিজ্য ভারতবর্ষ যাহা-কিছু আরম্ভ করিয়ছিল, যাহা প্রত্যহ বাড়িয়া উঠিয়া জগতের ঐশ্বর্যবিস্তার করিতেছিল, তাহ আজ অন্তঃপুরের অলংকারের বাক্সে প্রবেশ করিয়া আপনাকে অত্যন্ত নিরাপদ জ্ঞান করিতেছে ; তাহা আর বাড়িতেছে না, যাহা খোওয়া যাইতেছে তাহা খোওয়াই যাইতেছে । বস্তুত, এই গুরুর পদই আমরা হারাইয়াছি । রাজ্যেশ্বরত্ব কোনোকালে আমাদের দেশে চরমসম্পদ রূপে ছিল না— তাহা কোনোদিন আমাদের দেশের সমস্ত লোকের হৃদয় অধিকার করিতে পারে নাই— তাহার অভাব আমাদের দেশের প্রাণান্তকর অভাব নহে। ব্রাহ্মণত্বেৰ অধিকার, অর্থাৎ জ্ঞানের অধিকার, ধর্মের অধিকার, তপস্তার অধিকার আমাদের সমাজের যথার্থ প্রাণের আধার ছিল । যখন হইতে আচারপালনমাত্রই তপস্যার স্থান গ্রহণ করিল, যখন হইতে আপন ঐতিহাসিক মর্যাদা বিস্তৃত হইয়া আমাদের দেশে ব্রাহ্মণ ব্যতীত অার-সকলেই আপনাদিগকে শূদ্র অর্থাৎ অনার্ধ বলিয়া স্বীকার করিতে কুষ্ঠিত হইল না— সমাজকে নব নব তপস্যার ফল, নব নব ঐশ্বর্য বিতরণের ভার যে-ব্রাহ্মণের ছিল সেই ব্রাহ্মণ যখন আপন যথার্থ মাহাত্মা বিসর্জন দিয়া সমাজের স্বারদেশে নামিয়া আসিয়া কেবলমাত্র পাহার দিবার ভার গ্রহণ করিল,— তখন হইতে আমরা অন্যকেও কিছু দিতেছি না, আপনার যাহা ছিল তাহাকেও অকৰ্মণ্য ও বিকৃত করিতেছি ।