পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৩২ ৷ রবীন্দ্র-রচনাবলী লোকালয়ে ফিরায়েছ সুখদুঃখে নিজে হাত ধরি পথে পথে দিবসশর্বরী। প্রাণের বীণার তন্ত্রে মৃত্যুস্বরে তুলেছ স্পন্দন, বাধিয়াছ, ছিড়েছ বন্ধন । মর্মের বেদনা মোর তোমার আপন রসধারে পেয়েছে স্বতীব্র বর্ণ, দিয়েছ গভীর অর্থ তারে, মোর নৌকা খেয়া দিতে বারে বারে ঝঙ্কাবায়ু তুলে নিয়ে গেছ অপূর্বের কুলে। মনে হয় সম্ভবতঃ ইহাই প্রথম পাঠ । কয়েকটি কবিতার পরিশেষ-গ্রন্থে-বর্জিত অনুচ্ছেদ পাণ্ডুলিপি বা সাময়িক পত্র হইতে নিম্নে উদ্ধৃত शुझेल : সহসা জ্যৈষ্ঠের শেষরাতে গুরু গর্জনের সাথে পুর্ববনাস্তের শাখে মর্মরিয়া জাগে বায়ুবেগ, ঘননীল মেঘ দিগস্তের তটে আনে বর্ষণের নিবিড় আশ্বাস— তৃষিত মাটির বক্ষে দৈন্যজীর্ণ ঘাস উল্লাসে তখনি করিয়া অশ্রত জয়ধ্বনি থরে থরে ছোটো ছোটো অক্ষরে অক্ষরে আকাশের স্তবগান ফুটাইয়া তুলে তিনীল তিনাল ফুলে ফুলে — সে-পুলক নেব মোর সর্বদেহ ভরি’ রক্তের লহরী উঠিবে উচ্ছলি । বসন্তে কুঞ্জের গলি সুগন্ধিচ্ছায়ায়, জন্মদিন' কৰিতার পাণ্ডুলিপিতে বর্জনচিহ্নিত রচনাংশ– বর্তমান রচনাবলীর ১৬৭ পৃষ্ঠার জষ্টম ও নবম পংক্তির মধ্যে।