রাজমালা । দ্বিতীয়& وی می ده ত্রিপুরার পর্বতে পূর্বে ঘোড়া ছিল। কুকিগণ অনেক সময় রাজাকে অন্যান্য ৰস্ত ঘোটকের বিবরণ। বস্তুর সহিত ঘোড়া উপটৌকন প্রদান করিত । * ত্রিপুরার পার্শ্ববৰ্ত্তী মণিপুরের জঙ্গলে অদ্যপি ঘোটকের অস্তিত্ব বিদ্যমান asan, রহিয়াছে। এরূপ অবস্থায় ত্রিপুর পর্বতে ঘোড়া থাকা বিচিত্র কথ। । নহে । কোনও আদিদৈবিক কারণে অথবা পার্বত্য প্রদেশে জন বসতির আধিক্য হেতু ঘোটক বংশ বিলুপ্ত কিম্বা স্থানান্তরিত হইয়াছে, ইহাই অনুমিত হয়। বৰ্ত্তমান সময়ে এ রাজ্যের জঙ্গলে ঘোড়া পাওয়া যায় না। বন্য হস্তী ত্রিপুরার এক বিপুল সম্পদ। এই রাজ্যের হস্তী অতিশয় সুন্দর এবং দীর্ঘজীবী। প্রতি বৎসর শীত ঋতুতে খেদ করিয়া হস্তী ধরা হয়। জন বসতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হস্তীযূথ ক্রমশঃ দূরে সরিয়া যাইতেছে। এই কারণে, অশ্বের ন্যায় হস্তাও এ রাজ্যের জঙ্গলে ক্রমশঃ দুষ্প্রাপ্য হইবে বলিয়া অনেকে অনুমান করে। হস্তী সম্বন্ধীয় স্থল বিবরণ অতঃপর প্রদান করা হইবে । ৰস্ত হস্তীর বিবরণ । শাসন-তন্ত্র । রাজমালা প্রথম লাহরে দেখা গিয়াছে, সেনাপতিগণই শাসন বিভাগের কর্তা aaaaaa, ছিলেন। দ্বিতীয় লহর আলোচনায় জানা যায়, এই কালেও সেই ব্যবহার । নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে নাই । সৈনিক ও শাসন বিভাগ এক হস্তে পতিত হওয়ায়, অনেক সময় রাজ্য মধ্যে নানাবিধ অশাস্তি ও বিপ্লব সঙ্ঘটিত হইয়াছে। দুৰ্দ্ধৰ্ষ ও প্রবল পরাক্রান্ত সেনাপতিগণ স্বহস্তে শাসনভার পাইয়া নিজকে সর্বেসর্ব মনে করিতেন ; অনেক সময় রাজাকে উপেক্ষা করিয়া, স্বীয় প্রভুত্ব স্থাপনের প্রয়াসী হইতেন, এমন কি তাহদের সঙ্কল্পের পরিপন্থী রাজাকে বধ করিতেও কুষ্ঠিত হইতেন না। এই বিষয়ের অনেক দৃষ্টান্ত ইতিপূর্বে প্রদর্শিত হইয়াছে। কোন কোন সেনাপতি ক্ষমতা গর্বের্ব এত উন্মত্ত হইয়াছিলেন যে, রাজাকে অপসারিত করিয়া স্বয়ং সিংহাসন অধিকার করিতেও দ্বিধা বোধ করেন নাই। অনেক রাজা সতর্কত। অবলম্বন করিয়াও ইহাদের প্রভাব খর্ব করিতে সমর্থ হন নাই । মহারাজ ধৰ্ম্মমাণিক্যের শাসনকালে কালা খা, গগন খাঁ ও খ ছামখুম a sman (ছামখুম খাঁ) নামক ব্যক্তিত্রয় অমাত্য হইয়াছিলেন, অথচ ইহার সেনাপতিগণ সকলেই পরাক্রমশালী সেনাপতি ছিলেন । ধন্যমাণিক্য এবং বিজয়মাণিক্যের সময়ও ইহার সেনাপতির সম্মানিত পদ হইতে বঞ্চিত হন নাই ।
- (১) “নানাবিধ বস্তু যত নানারঙ্গ ঘোড়া ।
সহস্ৰ সহস্ৰ কুকি আসিল দিগম্বর ॥” ধন্ত্যমাণিক্য খণ্ড । (২) “পঞ্চ হস্তী দশ ঘোড়া তাকে দিল নৃপে।” বিজয়মাণিক্য খণ্ড ।