পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিমন্ত্য [ ১০ | অম্বরীষ ভারতযুদ্ধের ত্রয়োদশ দিবসে অর্জুন অম্বরাষ-স্বৰ্য্যবংশীয়_নৃপতিবিশেষ। সংসপ্তকগণের সহিত যুদ্ধে ব্যাপৃত হইলে, দ্রোণ চক্রব্যুহ প্রস্তুত করিয়া পাণ্ডব সৈন্ত আক্রমণ করিলেন । পাওবদিগের মধ্যে অর্জুন ভিন্ন আর কেহ সে ব্যুহ ভেদ করিতে জানিতেন না। কেবল অভিমনু্যই জানিতেন, কিন্তু তাহা হইতে নির্গমের উপায় অবগত ছিলেন না। ইনি ব্যুহ ভেদ করিয়া তন্মধ্যে প্রবেশ করিবার সময় অন্তান্ত পাণ্ডব বীরগণও ইহার সহিত যাইতে প্রয়াস পান। কিন্তু জয়দ্ৰথ দ্বার রক্ষা করায় আর কেহ ইহার সহিত ব্যুহের মধ্যে প্রবেশ করিতে পারিলেন না। বিষম যুদ্ধে কুরুপক্ষের বহুসৈন্ত ধ্বংস করিয়া অবশেষে সপ্তরর্থী কর্তৃক বীরবর মৃত্যুমুখে পতিত হন। বিরাটরাজ-তনয়৷ উত্তরার সহিত অভিমন্ত্র্যর বিবাহ হয়। ইহার মৃত্যুর সময় উত্তর গর্ভবতী ছিলেন, এবং সেই গর্ভে পরিক্ষিতের জন্ম হয়। অমরসিংহ-কবি ও পণ্ডিতবিশেষ। ইনি রাজা বিক্রমাদিত্যের সভায় নবরত্বের মধ্যে তৃতীয়। ইনি “অমরকোষ” নামে সংস্কৃত অভিধান পদ্যে প্রণয়ন করেন। এই অভিধান সংস্কৃত শিক্ষার্থীর নিকট অতি আদরের জিনিষ । ইহার পিতা মহারাজ নাভাগ । ইনি অতিশয় বিষ্ণুভক্ত, পরাক্রান্ত, ও প্রজাবৎসল রাজা ছিলেন এবং সৰ্ব্বদা দানধ্যানে নিযুক্ত থাকিতেন। স্বজন ও ঐশৰ্য্যের মধ্যে থাকিয়া ও ইনি কিছুতেই মুগ্ধ হইতেন না। কথিত আছে যে বিষ্ণু সুদর্শন চক্র দ্বারা ইহাকে রক্ষা করিতেন । একদা মহারাজ বৎসরব্যাপী এক ব্রতের উদযাপন করিতে ছিলেন। তিনদিন অভুক্ত থাকিয়া চতুৰ্থদিনে দানধ্যানাদি সমাপন বার সময় দুৰ্ব্বাস মুনি উপস্থিত হন । তিনি আতিথ্য স্বীকার করিয়া নদীতীরে স্নান করিতে গমন করেন। মুনির প্রত্যাগমনের বিলম্ব এবং পারণের তিথির অল্পকাল স্থায়িত্ব দেখিয়া রাজা উপস্থিত মুনিঋষির পরামর্শ অনুসারে পারণ করিতে বসিয়া জল পান করেন । ইতিমধ্যে দুৰ্ব্বাসা প্রত্যাগমন করিয়া রাজার অগ্রে জলগ্রহণ বৃত্তান্ত অবগত হইয়া ক্রোধে স্বীয় জটা ছিন্ন করেন। জটা হইতে এক ভয়ানক উগ্ৰমূৰ্ত্তি স্বল্প হইয়া, রাজাকে ধ্বংস করিতে উদ্যত হয় । সুদর্শন তখন ঐ উগ্ৰমূৰ্ত্তিকে ভস্মীভূত করিয়া