পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 S | るSか○ ভ্রমণ, সেইমত মম আচরণ । কিছুতেই লিপ্ত নই, সৰ্ব্ব কৰ্ম্মে সাক্ষী হই, কহিলাম তোমার সদন ॥ যত আছে জীবচয়, মম প্রতিবিম্ব হয়, শুভাশুভ ভুঞ্জে কর্তা হৈয়া । যেন ঘটে ঘটে জল, চন্দ্রসূর্য্যের মণ্ডল, দীপ্তমান হয় প্রাণপ্রিয়া । সে ঘট ভগ্ন যখন, সব হয় সন্মিলন, সেইমত. আমি প্ৰাণেশ্বরী। জীবের মিলন হয়, আমাতে প্রিয়ে নিশ্চয়, মৃত্যু হইলে কায় পরিহরি ॥ আধার আধেয় যত, বটী গে! আমি তাবত, কাৰ্য্য আর কাওর্য্যর কারণ । শ্রেষ্ঠ আমি সৰ্ব্বজন, যত আছে জীবগণ, রূপে দৃষ্ট নহে অদশন ॥ আমি যথা তুমি তথা, এ কথা নহে অন্যথা, দুগ্ধে যেন ধবল বরণ । ইথে ভেদ নাহি হয়, স্বভাবেতে স্থভ্ৰময়, তুমি আমি হইগো তেমন ॥ অতি কৃপান্বিত দৃষ্টি, করিয়া করেছি স্বষ্টি, মহাবিরাটের গো আকার। প্রতি লোম কূপ যার, বিশ্ব নিখিল সংসার, এমন প্রকাণ্ড দেহ তার। তুমিও অংশ রূপিণী, বটগো তার কামিনী, মহাশক্তি প্রকৃতি ঈশ্বরী । ক্ষুদ্র বিরাট স্বজন, করিলাম বিচক্ষণ, বিশ্ব র্যার নাভিপদ্মোপরি ॥ অংশে তুমি তার যায়া, হওগো সুন্দরী কায়া, জ্যোতিৰ্ম্ময়ী প্রকৃতির পর । প্রত্যেক বিশ্ব উদয়, ব্রহ্মা বিষ্ণু শিবাদয়, হইয়াছে শুন মনোহরা ॥ যত নারী আছে ভূমি, সকলি গো রাধে তুমি, আমি বট পুরুষ সকল । বহ্নির যায়। রাধিকা, তুমি গো স্বাহদায়িকা, কলাংশেতে আমি গো অনল ॥ তোমারে স্বহায়