পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२९ शां२जांग्न अत्रभं ش স্ন' উলিপুর হইতে ১০ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে ব্ৰহ্মপুত্র কুলে চিলমারী একটি পুরাতন গ্রাম ও বাণিজ্য কেন্দ্র। চিলমারীর অপর পারে ব্ৰহ্মপুত্রের পূর্ব কুলে গারো পাহাড়ের পাদদেশে কুড়িগ্রাম মহকুমার কিয়দংশ অবস্থিত; তথায় রৌমারী একটি প্রসিদ্ধ বন্দর। : লালমণিরহাট জংশন—পাবর্বতীপুর জংশন হইতে se মাইল দূর। ইহা রপুর ¢छलांद्भ অন্তর্গত একটি নগণ্য গওগ্রাম ছিল, কিন্তু রেলের কল্যাণে এখন প্রায় শহরে পরিণত হইয়াছে। এখানে একটি বড় রেলওয়ে উপনিবেশ আছে। . . ইহা বাংলা-দুয়ার (বেঙ্গল-ডুয়ার্স) রেলপথের সহিত একটি জংশন স্টেশন। এখান হইতে আরম্ভ হইয়া বাংলা-দুয়ার রেলপথ ১৩৩ মাইল দূরবর্তী জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত তোর্স নদীর ধারে মাদারীহাট পৰ্য্যন্ত গিয়াছে। তোসা তিবৃতে উঠিয়া ভুটানের মধ্য দিয়া আসিয়া জলপাইগুড়ি জেলায় প্রবেশ করে। মাদারীহাট হইতে ১২ মাইল দক্ষিণে ফালাকাটা পাট, তামাক ও সরিষার বড় গঞ্জ । শ্রীপঞ্চমীর সময়ে এখানে একমাসব্যাপী একটি মেলা বসে। এই স্থানে আগে আলিপুর দুয়ার মহকুমার সদর ছিল। বাংলা-দুয়ার রেলপথের উভয় পার্শ্বে বহু চা-বাগান আছে। এই রেলপথে লালমণিরহাট হইতে যথাক্রমে ১৪ ও ১৭ মাইল দূরবর্তী কাকিনা ও তুষভাণ্ডার দুইটি পুরাতন জমিদার বংশের বাসস্থান। কাকিনা প্রাচীন কোচরাজ্যের ছয়টি বিভাগের অন্যতম বিভাগ ছিল। এখানকার রাজবংশ দান ও বিদ্যানুরাগের জন্য প্রসিদ্ধ। কাকিনার রাজবাড়ীটি দেখিতে অতি সুন্দর। তুম্বভাণ্ডার জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতার নাম সীতারাম রায় চৌধুরী। তিনি স্বীয় মুহুৎ আরিফ মহম্মদ চৌধুরীর নিকট হইতে তাহার সম্পত্তির পাচ আন। অংশ প্রাপ্ত হইয়৷ এই জমিদারীর পত্তন করেন (রংপুর দ্রষ্টব্য)। তুষভাণ্ডার এ অঞ্চলের একটি প্রসিদ্ধ গঞ্জ। লালমণিরহাট হইতে ৪৬ মাইল দূরবর্তী পাটগ্রাম স্টেশনও একটি বাণিজ্য প্রধান স্থান। পাটগ্রাম হইতে ৮ মাইল পশ্চিমে তিস্তার পূর্ব কুলে মেখলিগঞ্জ কোচবিহার রাজ্যের একটি উপবিভাগ ও গঞ্জ । পুবের্ব এখানে পাটের একপ্রকার সুন্দর রঙ্গীন গালিচা প্রস্তুত হইত; ইহাকে মেখলি বলিত । , বাংলা-দুয়ার রেলপথের সদর দপ্তর লালমণিরহাট হইতে ৬৯ মাইল দূরবর্তী দোমোহানি নামক স্থানে অবস্থিত। এই স্থান হইতে একটি ছোট শাখা লাইন ৬ মাইল দূরবর্তী জলপাইগুড়ি শহরের বিপরীত দিকে তিস্তা নদীর পূর্ব তীরস্থ বার্ণেসঘাট পর্য্যস্ত গিয়াছে। দোমোহানি হইতে ৪ মাইল পূবর্বদিকে ময়নাগুড়ি দুয়ার অঞ্চলের একটি প্রসিদ্ধ স্থান। ময়নাগুড়ি রোডে একটি স্টেশনও আছে। ময়নাগুড়ি হইতে জলপেশ মন্দির ৪ মাইল দক্ষিণ-পূবেৰ্ব ; (জলপাইগুড়ি দ্রষ্টব্য)। দোমোহানির পরবর্তী স্টেশন লাটাগুড়ি জংশন হইতে অপর একটি শাখা ৬ মাইল দূরে রামশাই হাট পর্য্যন্ত গিয়াছে। রামশাইহাট জলঢাকা নদীর তীরে অরণ্যের মধ্যে অবস্থিত। ব্যাঘ্ৰাদি শিকারের জন্য অনেকে এখানে আসিয়া থাকেন। জলঢাকা ভুটান হইতে উঠিয়া দাজিলিং জেলার সীমান্ত দিয়া জলপাইগুড়ি জেলায় ঢুকিয়াছে; তথা হইতে কোচবিহার রাজ্যের মধ্য দিয়া গিয়া রংপুর জেলায় তোরস নদীর একটি শাখার সহিত মিলিত হইয়া ধরলা নামে পরিচিত হইয়াছে। লালমনিরহাট হইতে ৯০ মাইল দূরবর্তী মাল জংশন এই রেলপথের একটি উল্লেখযোগ্য স্টেশন। ইহ প্রকট বিখ্যাত বাণিজ্য কেজ। এখান হইতে একটি শাখা লাইন বাহির হইয়া ১১ মাইল تجميع