বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পাষাণের কথা.djvu/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পাষাণের কথা

জানাইয়া জনৈক তরুণ নাগরিকের নিকট হইতে এক কলস মধুর মূল্য প্রার্থনা করিতেছিলেন; তাঁহার পার্শ্ববর্ত্তী জনৈক সৈনিক তাহাতে বিশেষ আপত্তি করিতেছিল। মহাশক্তির তৎকালীন অধিকারী চক্রমধ্যে অবস্থিত বোধিসত্ত্বপ্রবরের সহিষ্ণুতা ক্ষীণ হইয়া আসিতেছিল; তিনি ত্রিমূর্ত্তির প্রতি ঘন ঘন রোষকটাক্ষ ক্ষেপণ করিতেছিলেন। দূরে দাঁড়াইয়া কতকগুলি নাগরিক ও নাগরিকা এই ব্যাপার দর্শন করিয়া বিশেষ আনন্দ উপলব্ধি করিতেছিল। কোন স্থানে প্রত্যেক বুদ্ধ ও শিষ্যমণ্ডলীর মধ্যে প্রাপ্ত দক্ষিণার বিভাগ সম্বন্ধে বিলক্ষণ বিবাদ উপস্থিত হইয়াছিল ও কয়েকজন প্রৌঢ় নাগরিক বিবাদ ভঞ্জনের চেষ্টা করিতেছিলেন। যে সকল নাগরিকের সহিত তরুণী ও যুবতী মহিলাগণ আসিয়াছিলেন তাঁহারা সত্বর পূজা সমাপন করিয়া বেষ্টনী হইতে বহির্গত হইবার চেষ্টা করিতেছিলেন। কয়েকজন উচ্চপদস্থ রাজপুরুষ সেনাধ্যক্ষ স্তূপাভিমুখে আসিবার ও পরিক্রমণের পথ রক্ষা করিতেছিলেন। কিন্তু তাঁহাদিগের উপস্থিতি সত্ত্বেও কোন কোন সৈনিককে স্থানান্তরিত করিতে হইতেছিল। কোন কোন শক্তিরূপিনী মহিলা নাগরিকগণের আকর্ষণে তাঁহাদিগের অধিকারী বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্বগণকে পরিত্যাগ করিলে তাঁহারা অধীর হইয়া উঠিতেছিলেন; কিন্তু সম্রাটের সুবর্ণখণ্ডের আশায় চক্র পরিত্যাগ করিতে পারিতেছিলেন না। বেষ্টনীর বহির্দ্দেশে সম্রাটের অনুযাত্রী কয়েকজন সৈন্য পরিবৃত হইয়া কাষায়ধারী নবাগত ভিক্ষুগণ সম্রাটের জন্য অপেক্ষা করিতেছিলেন। জনৈকা শক্তি আনিয়া ইঁহাদিগকে মধু পান করিতে আহ্বান করিতেছিলেন। ভিক্ষুগণ মধুভাণ্ড প্রত্যাখ্যান করিলে তিনি অতি ভদ্র ও শ্লীল ভাষায় ভিক্ষুগণের বর্ণনা করিতে করিতে তাঁহার অধিকারী বোধিসত্ত্বের নিকট গমন করিলেন। তখন বোধিসত্ত্বের আদেশে তাঁহার শিষ্য ও

১৪৩