অল্পক্ষণ পরে সায়েস্তা খাঁ জনৈক বয়স্ক ফিরিঙ্গিকে লইয়া দেওয়ান-ই-খাসে প্রবেশ করিলেন। ফিরিঙ্গি ভূমি চুম্বন করিয়া বাদশাহকে অভিবাদন করিল। উজীর আসফ্ খাঁ জিজ্ঞাসা করিলেন, “ফিরিঙ্গি, তোমার নাম কি?”
ফিরিঙ্গি পুনরায় অভিবাদন করিয়া কহিল,—“আমার নাম ওয়াইল্ড, আমি সুরট বন্দরে ইংরাজ কোম্পানীর প্রধান।”
“তোমরা কি পর্ত্তুগীজ ফিরিঙ্গির দুষমন্?”
“হাঁ”
“তোমরা ঈসাই?”
“হাঁ, তবে পর্ত্তুগীজদের ন্যায় নহে।”
“যদি শাহানশাহ্ বাদশাহের হুকুম তামিল করিতে পার, তাহা হইলে তোমাদের অভীষ্ট সিদ্ধ হইবে।”
বাদশাহ্ জিজ্ঞাসা করিলেন, “আসদ্ খাঁ, তোমার সহিত সপ্তগ্রামে ফিরিঙ্গির বিবাদ হইয়াছিল কেন?”
“জহাপনা, এক কাফের পাদ্রীর নিকট হইতে পলাইয়া বাদশাহী বন্দরে আশ্রয় লইয়াছিল, পাদ্রী ফিরিঙ্গি সিপাহী লইয়া তাহাকে ধরিয়া লইয়া যাইবার উদ্যোগ করিয়াছিল, আমি বাধা দিয়াছিলাম বলিয়া সে আমাকেও আক্রমণ করিয়াছিল। সেই দিন দেবেন্দ্রনারায়ণের পুত্র আমার জীবন রক্ষা করিয়াছিল। কাফেরকে ধরিয়া লইয়া যাইতে পারে নাই বলিয়া ফিরিঙ্গি ফৌজ রাত্রিকালে বন্দর আক্রমণ করিয়া লুট করিয়াছিল। তখনও এই যুবা সপ্তগ্রাম রক্ষা করিয়াছিল।”