পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऐडभूझलशद्ध डांब्रड आकभन। ዓዓ অত্যন্ধুত সমরসজ্জা, অতিমাত্র দুর্বলতা ও একান্ত নিস্তেজত ইতিহাসের মধ্যে এমন বৈচিত্রের সৃষ্টি করিয়াছে যে, তাহা উপন্যাসের ন্যায় সুখপাঠ্য। সত্য বটে, আমাদিগের পূর্বপুরুষগণের শোণিতে সে ইতিহাসের প্রত্যেক পৃষ্ঠা রঞ্জিত ; কিন্তু তথাপি তাহা ত্যাগ করা যাইতে পারে না। তাহা আমাদিগেরই শতাব্দী-অর্জিত নীরব নিশ্চেষ্টতা ও অক্ষমতার নিদর্শন। সে দুৰ্ব্বলতার ন্যায্য কলঙ্কটুকু আমাদিগকেই গ্ৰহণ করিতে হইবে । তৈমুরলাঙ্গের যে কয়েকখানি জীবনীর সন্ধান পাওয়া গিয়াছে, তন্মধ্যে আলফুজাট-ই-তইমুরী ও জাফরানামাই প্ৰধান। প্ৰথমখানি তুকী ভাষায় লিখিত তৈমুরলঙ্গের একখানি ক্ষুদ্রজীবনী। তঁহার জীবিত অবস্থায় সভাপণ্ডিতগণ সময়ে সময়ে তাহার বীরত্ব কাহিনী অবলম্বনে নানা প্ৰকার রচনা লিপিবদ্ধ করিয়া, সম্রাটু সমক্ষে পাঠ করিত। বর্ণিত ঘটনা সম্রাটের প্রীতিপ্ৰদ হইলে, রচনা গৃহীত হইয়া পুস্তকাকারে প্রকাশিত হইয়া। থাকিবে এইরূপ অনুমিত হয়। পরে ভারত-সম্রাঢ় সাহজাহানের রাজত্বকালে আবুতালিবের দ্বারা ইহা পাশী ভাষায় অনুবাদিত হয়। তৈমুরলাঙ্গের মৃত্যুর ত্রিশ বৎসর পরে দ্বিতীয় গ্ৰন্থ জাফরনামা রচিত হয় । তাহার বীরত্ব-কাহিনী লোকসমাজে ঘোষণা করাই এই গ্রন্থেয় উদ্দেশু। সুতরাং নরশোণিত-রঞ্জিত ঘটনা সমূহই ইহার উপাদান। গ্রন্থদ্বয়ে বর্ণিত ঘটনার মধ্যে প্ৰায় বিরোধ নাই । তাহার একটা কারণ . জাফরানামার লেখক মালফুজাট-ই-তাহমুরীতে বর্ণিত ঘটনা সমূহের আশ্রয় গ্ৰহণ করিয়া যে তাহার গ্ৰন্থ রচনা করিয়াছেন, ইহা তিনি স্বয়ং স্বীকার করিয়া গিয়াছেন। উক্ত গ্রন্থের প্রামাণিকতার ইহাই একটী । প্রধান প্ৰমাণ । তৈমুরলাঙ্গের ভারত আক্রমণ সম্বন্ধে যে সমুদয় প্রশ্ন স্বতঃই মন মধ্যে উদিত হয়, উল্লিখিত গ্ৰন্থদ্বয় পাঠে সে সমুদয় প্রশ্নের অধিকাংশই নিরাকৃত হয় । উক্ত গ্ৰন্থদ্বয়ে বর্ণিত ঘটনা আমরা সংক্ষেপে বর্ণনা করিতেছি।