পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१७f ि७ ठलभू१ति । বৈকুণ্ঠ ও নিম্নাংশের নাম পাতালপুর, পাতালপুরের সন্নিকটে যমপুরগুম্ফার ভগ্নাবশেষ বিদ্যমান রহিয়াছে।. বৈকুণ্ঠপুর-গুম্ফার উপরে পালিভাষায় লিখিত খোদিত লিপির অর্থ প্রিন্সেপ ( IPrincep ) সাহেব এইরূপ করিয়াছেন, “ভিক্ষুগণের মঙ্গলাশীৰ্ব্বাদে কলিঙ্গ-নৃপতিবৃন্দ এই গুম্ফা সকল প্রস্তুত করিয়াছেন ।” পৰ্ব্বতের উচ্চতম প্রদেশে হস্তি গুম্ফা নামক একটা বড় রকমের গুম্মফা আছে, ইহা পৰ্ব্বতের একটি স্বাভাবিক গুহাকে কাটিয়া বড় করা হইয়াছে ; একটি অতি প্রাচীন শিলালিপির নিমিত্তই এই গুম্ফা বিশেষ বিখ্যাত । এই গুম্ফায় কোনরূপ শিল্পচাতুৰ্য্য বিদ্যমান নাই, কেবল তিনটি কক্ষ এবং গৃহের সমক্ষে একটী বারাণ্ড আছে । এই গুম্ফার নিকট হইতে বহুদূর পৰ্য্যন্ত দৃষ্টি চলে—‘অতি দূরে দূরে দুই একটা অনুচ্চ গিরিশৃঙ্গ, আর কেবল সুবিস্তৃত বনরাজিলীলা কাননকুন্তলা ধারণী সুন্দরীর উদ্ধৃঙ্খল স্তরে স্তরে বিভক্ত সুষমাসম্পদ । বৰ্ত্তমান সময়ে শিলালিপির অক্ষর গুলি অধিকাংশ স্থলেই অস্পষ্ট এবং কোন কোন স্থান একেবারেই নষ্ট হইয়া গিয়াছে। লেফটেন্যান্ট কিটো সাহেব ১৮৩৭ খ্ৰীষ্টাব্দে ইহার একটিী প্ৰতিলিপি গ্ৰহণ করিয়াছিলেন, সেজন্য ইহার প্রাচীনত্ব ইতিহাসজ্ঞ পাঠকবর্গের অবিদিত নাই । এই লিপি পাঠে জানিতে পারা যায় যে, কলিঙ্গদেশে ক্ষমতাবান ঐার নামক এক জন নরপতি ছিলেন ; তিনি অত্যন্ত দানশীল ছিলেন ; বারাণসীতে তিনি বহু স্বর্ণ বিতরণ করিয়াছিলেন ; তাহার সৈন্য, অশ্ব, গো, মেষ মহিমাদি অসংখ্য ছিল এবং সর্বদা তাহ{- দিগের দ্বারাই বেষ্টিত থাকিতেন । র্তা তার বাহন। এক অতি বৃহদাকারের হস্তীর নাম ছিল “মহামেঘ ” ইনি কলিঙ্গরাজ্য জয় করিয়া, নূতন রাজ ३रिठ gगव & टाइब्रि খোদিত লিপি । ধানী স্থাপনাস্তর রাজত্বের ত্রয়োদশবর্য সময়ে, পৰ্ব্বত নামক জনৈক নৃপতির কন্যার পাণিগ্রহণ করেন । ইনি মগধের নরপতি নন্দরাজকে রণে