পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুলরক্ষা । অধরদংশন করিতেছিলেন। তঁহার চক্ষের সম্মুখে সমস্ত পৃথিবীটা যেন একটা নিষ্ঠুর রাক্ষসের মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া তাহাকে ajान कब्रिड अनिडिछिल । একখানি বস্ত্ৰাবৃত ডুলি আসিয়া থামিল। শঙ্কামলিন কমলের বেপমান দেহ দুইজন দাসী প্ৰায় টানিয়া বাহির করিল। বৃদ্ধৗ চীৎকার করিযী উঠিলেন । ষষ্ঠীচরণের সমুদায় ধমনীতে একটা তীব্র জলাময় আগুনের স্রোত বহিয়া গোল। একলম্বেফ। তিনি উঠিয়া দাড়াইলেন, মুহুর্তে আটদশ জন বলিষ্ঠ লোক তঁহাকে সবলে চাপিয়া ধরিল। উন্মত্তের মত চীৎকার করিয়া ষষ্ঠীচরণ বললেন, “দোহাই হুজুরের, আপনি দেশের রাজা, গরীবের মা বাপ । এমন নিদারুণ অবিচার, অধৰ্ম্ম করিবেন না । কমলকৈ আপনি জিজ্ঞাসা করিয়া দেখুন, আমি অগ্নিসাক্ষী করিয়া শাস্ত্ৰমত উহাকে বিবাহ করিয়াছি কি না ।” দাসীদিগের বাহুবেষ্টনের মধ্যে শরীরের পূর্বাদ্ধ উদ্যত করিয়া উন্মুখ তরঙ্গের ন্যায় কমল স্বামীর নিকট যাইতে চাহিল। “খবরদার।” বিদ্যালঙ্কার বাঘের মত গৰ্জিয়া উঠিলেন। তারপর জলন্ত আগুনের মত ষষ্ঠীচরণের দিকে ফিরিয়া বলিলেন, “চুপ কৰু লম্পট! তোর সঙ্গে উহার বিবাহই হইতে পারে না । কেহ জানিল না, কেহ সম্প্রদান করিল না, বিবাহ ।” চারিদিক হইতে অসংখ্য কণ্ঠে শব্দ হইল, “কখনও হইতে পারে না, কখনও হয় নাই।” 8ס\כי