যোগসাধন সম্বন্ধীয় মত। Re» তৎপরে সাধক অবস্থায় ভগবানের আবির্ভাব অল্প প্রকাশ হইতে থাকে এবং এই অবস্থার শেষভাগে সুস্পষ্ট ব্ৰহ্মদৰ্শন হয়। তাহার পর , যুঞ্জন যোগীদিগের অবস্থা । তাহারা প্ৰায়ই ঈশ্বর সহবাসে থাকেন ও বিবিধ সত্য লাভে জীবন কৃতাৰ্থ করেন । কিন্তু মধ্যে মধ্যে ইহাদেরও বিচ্ছেদ হয় । সেই সময় অত্যন্ত ক্লেশে থাকেন । ইহাদের মধ্যেও বিচ্ছেদের মুহূৰ্ত্তে পাপ প্ৰবেশ করিয়া সৰ্ব্বনাশ করিতে পারে। অবশেষে ঈশ্বরকৃপায় যাহারা অবিচ্ছিন্নযোগের অবস্থায় থাকিয়া সেই পূর্ণ পরমেশ্বরে প্রতিনিয়ত অবস্থিতি ও বিচরণ করেন। তঁহাদিগকে যুক্তযোগী কহে । ইহাই প্ৰকৃত সিদ্ধাবস্থা । যোগ শিক্ষা করিতে হইলে এইরূপ কোন সিদ্ধ যোগীর নিকটই শিক্ষালাভ করা উচিত । কিন্তু যে সকল যোগীর সহিত কোন সিদ্ধমহাপুরুষের সাক্ষাৎযোগ আছে, তঁহাদিগকে যদি এই মহাত্মারা অপরের মধ্যে শক্তি সঞ্চারের ক্ষমতা দিয়া দীক্ষিত করিতে অাদেশ করেন তাহা হইলেও সেইরূপ ফললাভ করা যায় । নতুবা যার তার কাছে দীক্ষিত হওয়া যৎপরোনাস্তি অকৰ্ত্তব্য ; যে অন্ধ সে অপরকে পথ দেখাইবে কি ? যে এক শত টাকার অধিকারী, সে দান-ছত্ৰ খুলিলে চলিবে কেন ? যাহার শক্তি অনন্তশক্তিমান পরমেশ্বরে যুক্ত হইয়াছে তিনিই শক্তির অনন্তপ্রস্রবণ লাভ করিয়াছেন। তদ্ভিন্ন অন্য কাহারও যোগ দীক্ষা দিবার অধিকার নাই । এইরূপ হীনাবস্থার লোকের নিকট দীক্ষা লওয়াতেই আমাদের দেশে গুরুবাদের ভয়াবহ অত্যাচার ঘুণিত পাশবাচার সমূহ প্রচারিত হইয়াছে।” “এই পথ ভিন্ন মুক্তির অন্যপথ নাই, এমন ভয়ানক কথা আমি বলিতে পারি না । ইহাতেই যত দলাদলির সৃষ্টি হইয়াছে। পূর্বেই বলা হইয়াছে, ঈশ্বর স্বয়ং তঁহাকে পাইবার সাধন ও উপায় । যে কেহ সরলভাবে সত্যস্বরূপ ঈশ্বরকে অবলম্বন করিয়া পড়িয়া থাকিবে ও মুক্তির