পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
দুনিয়ার দেনা

 একটি দুবছরের ছেলে মাটির ঘরের দাওয়ায় পড়ে হাত পা খিঁচচে, দেখা গেল। কাছেই একরাশ তুলসীগাছের একটা ঝোপ। কতকগুলো তার পাতা তুলে ছেঁচে রস করে তাড়াতাড়ি গরম করে খাওয়ান মাত্র ছেলেটির খেঁচুনি বন্ধ হয়ে গেল, ছেলেটি সুস্থ হয়ে উঠল।

 ছেলের মা লোকটার পায়ের উপর প’ড়ে, “ভূত তাড়িয়ে তুমিই আমার ছেলেকে বাঁচলে, বাবা! তুমিই বাঁচালে!” ব’লে বারম্বার আকুলি বিকুলি করে, তার কাছে নিজের কৃতজ্ঞতা জানাতে লাগল।

 লোকটি বল্লে, “বাড়ী ঘর বিছানা পত্র খাবার জিনিষ শরীর কোন কিছু যদি অপরিষ্কার রাখিস্, আর পচা মাছ, পচা মাংস খাস্, তাহলে আবার ভূত এসে চাপবে, আর আমি বাঁচতে পারব না। দেখিস্ সাবধান, এখন থেকে খুব পরিষ্কার থাকবি চারিদিক খুব পরিষ্কার রাখবি।”

 তারা সকলে একসঙ্গে বলে উঠল, “পরিষ্কার হলেই ভূত পালাবে?”

 লোকটি বল্ল, “হাঁ পরিষ্কার হলেই ভূত একবারে পালাবে, আর কখনো আসবে না।”

 সেই থেকে তারা, ঘর, বাড়ী খাবার জিনিষ শরীর সব পরিষ্কার রাখতে আরম্ভ করল। তার পর থেকে সে রকম রোগও আর কখনো তাদের মধ্যে দেখা দেয়নি!

 স্ত্রীলোকটি গোপনে দাঁড়িয়ে সব দেখল এবং সেদিন