অস্তিত্ব সম্বন্ধে ওরা খুব সচেতন হয়ে উঠে নিজের অস্তিত্বকে এক মুহূর্ত্ত ভুলে থাকতে পারে না। এখুনি তার প্রমাণ দেখতে পাবে।”
বল্তে বল্তে দৈবপ্রভা ও মধুমতী কাপালিকের ঘরের মধ্যে ঢুক্ল।
দৈবপ্রভা জিজ্ঞাসা করল “কেমন আছ?”
কা। ভয়ানক কষ্ট।
দৈ। কিসের কষ্ট?
কা। চোখ হাত পা বেঁধে পড়ে থাকার একটা ভয়ানক কষ্ট, তাছাড়া বাইরের কিছু দেখতে শুনতে না পাওয়ায় নিজের অস্তিত্বকে খুব বেশী করে অনুভব হয় তার এক ভীষণ যন্ত্রণা।
দৈ। সাধনার দ্বারা নিজের অস্তিত্বকে যে উৎকট শক্তির মধ্যে এতদিন ধরে জাগিয়ে তুলেছে তার ভীষণতা, উগ্রতা একবার অনুভব কর।
কা। ভয়ানক, ভয়ানক, অত্যন্ত ভয়ানক কি ভীষণ শক্তি। মৃত্যু হোক আমার মৃত্যু হোক, অস্তিত্বের উগ্রতায় উৎকটতায় আমার আত্মা যেন ছারখার হয়ে যাচ্ছে।
দৈ। শান্ত হও, কাপালিক শান্ত হও, নিজের অস্তিত্বকে শান্ত রূপে ভজনা করতে চেষ্টা কর সহজে শান্তি পাবে।" কাপালিক মূর্চ্ছিতের মত মাটিতে পড়ে রইল, দৈবপ্রভা আস্তে আস্তে ঘর থেকে বের হয়ে গেল।