বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গ্ৰাম্য উপাখ্যান ।
২১

সরকারী ডাক্তারী কার্য্য করিয়াছিলেন। তিনি সিপাহী বিদ্রোহের সময় ঐ পদে অভিষিক্ত ছিলেন। ঐ বিদ্রোহের সময় তিনি আমাদিগকে এক পত্র লিখিয়াছিলেন, তাহাতে এই কথাগুলি ছিল, “আমি পত্র লিখিতে লিখিতে শুনিতেছি যে সিপাহীরা আসিয়া সাহেব দিগকে মারিয়া ফেলিয়া বাজার লুটপাট আরম্ভ করিয়াছে। আমার যে কি ভয় হইতেছে তাহা লিখিতে পারি না।” এই পত্র আমরা ছয় মাস পরে প্রাপ্ত হই। এই পত্র যে কত জায়গায় ঘুরিয়াছিল কত জায়গায় আটকিয়া ছিল তাহা বলা যায় না। তৎপরে আমাদের হাতে আসিয়া পড়িল। এমন কাষ্ঠ-প্রাণ পত্র আমরা কখন দেখি নাই। তাহা কোন মিউজিয়মে অর্পণ করিব বলিয়া আমরা রাখিয়া দিয়াছি।

শিবচন্দ্র ঘোষ।

 শিবচন্দ্র ঘোষ বাদল গ্রামের জমীদার ঘোষ বংশের অন্যতর ব্যক্তি। তিনি উক্ত গ্রামের বাজারীয়া দলের অধিনায়ক ছিলেন। এই সময়ে বাদলগ্রামনিবাসীরা দুই দলে বিভক্ত ছিল, বাজারীয়া দল ও ব্রহ্মজ্ঞানীর দল। একদা গ্রামের মাঝের-পাড়ানিবাসী হরিহর বসু ধোবা পুষ্করিণীর ধারে বসিয়া নূতন ধর্ম্মসংস্কারক রামমোহন রায়ের গ্রন্থ পাঠ করিতেছিলেন, এমন সময়ে গ্রামের প্রধান পণ্ডিত রামধন তর্কবাগীশ সেই পথ দিয়া যাইতেছিলেন। হরিহর বসু রামমোহন রায়ের গ্রন্থ পড়িতেছেন দেখিয়া “ছোঁড়া! তুই