বাঙ্গালী ভাষা লিখিবার ভাষা প্ৰায় সকল দেশেই লিখিত ভাষা এবং কথিত ভাষায় অনেক প্ৰভেদ। যে সকল বাঙ্গালী ইংরেজি সাহিত্যে পারদর্শী, তাহার একজন লণ্ডনী কন্কনী বা একজন কৃষকের কথা সহজে বুঝিতে পারেন না, এবং এতদ্দেশে অনেক দিন বাস করিয়া বাঙ্গালীর সহিত কথাবাৰ্ত্ত কহিতে কহিতে যে ইংরেজের বাঙ্গাল শিখিয়াছেন, তাহারা প্ৰায় একখানিও বাঙ্গালাগ্ৰন্থ বুঝিতে পারেন না। প্ৰাচীন ভারতেও সংস্কৃতে ও প্রাকৃতে, আদৌ বােধ হয়, এইরূপ প্ৰভেদ ছিল, এবং সেই প্ৰভেদ হইতে আধুনিক ভারতবর্ষীয় ভাষাসকলের উৎপত্তি। ' বাঙ্গালার লিখিত এবং কথিত ভাষায় যতটা প্ৰভেদ দেখা যায়, অন্যত্র তত নহে। বলিতে গেলে, কিছু কাল পূর্বে দুইটি পৃথক ভাষা বাঙ্গালায় প্রচলিত ছিল। একটির নাম সাধুভাষা ; অপরটির নাম অপর ভাষা। একটি লিখিবার ভাষা, দ্বিতীয়টি কহিবার ভাষা। পুস্তকে প্রথম ভাষাটি ভিন্ন, দ্বিতীয়টির কোন চিহ্ন পাওয়া যাইত না। সাধুভাষায় অপ্রচলিত সংস্কৃত শব্দসকল বাঙ্গাল ক্রিয়াপদের আদিম রূপের সঙ্গে সংযুক্ত হইত। যে শব্দ আভাঙ্গা সংস্কৃত নহে, সাধুভাষায় প্রবেশ করিবার তাহার কোন অধিকার ছিল না। লোকে বুকুক বা না বুকুক, আভাঙ্গা সংস্কৃত চাহি। অপর ভাষা সে দিকে না গিয়া, যাহা সকলের বোধগম্য, তাহাই ব্যবহার করে। গদ্য ণ" গ্ৰন্থাদিতে সাধুভাষা ভিন্ন আর কিছু ব্যবহার হইত না। তখন পুস্তকপ্রণয়ন সংস্কৃত ব্যবসায়ীদিগের হাতে ছিল। অন্যের বোধ ছিল যে, যে সংস্কৃত না জানে, বাঙ্গাল
- वक्रलर्णन, ४२v¢, खार्छ ।
- পদ্য সম্বন্ধে ভিন্ন রীতি। আদৌ বাঙ্গালা কাব্যে কথিত ভাষাই অধিক পরিমাণে ব্যবহার" হইত-এখনও হইতেছে। বোধ হয়, আজি কালি সংস্কৃত শব্দ বাঙ্গালা পদ্যে পূর্বাপেক্ষা অধিক পরিমাণে প্ৰবেশ করিতেছে ; চণ্ডিদাসের গীত এবং ব্ৰজাঙ্গনা কাব্য, অথবা কৃত্তিবাসি রামায়ণ এবং বৃত্ৰাসই তুলনা করিয়া দেখিলেই বুঝিতে পারাযাইবে। এ সম্বন্ধে যাহা লিখিত হইল, তাহা কেবল বাঙ্গালা গল্প সম্বন্ধেই বৰ্ত্তে। যাহারা সাহিত্যের ফলাফল অনুসন্ধান করিয়াছেন, তাহারা জানেন যে, প্যাপেক্ষা গ শ্ৰেষ্ঠ, এবং সভ্যতার উন্নতি পক্ষে পদ্যাপেক্ষা গন্তই কাৰ্য্যকারী। অতএব পদ্যের রীতি ভিন্ন হইলেণ্ড, এই अर्थाकी 6थ(प्राखन कभिक्ष ना ।