পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R 08: थीयौवन । হইয়া গেল ; মন লজ্জায় ও আত্মনিন্দায় পুৰ্ণ হইল। অতএব এ অনুতাপ অহঙ্কারের রূপান্তর মাত্র। চিন্তা করিলেই দৃষ্ট হইবে যে এ অনুতাপও অনেক সময়ে বন্ধুর কার্স্য করে। দর্পহারী ভগবান অনেক সময়ে এইরূপে দৰ্পচূৰ্ণ করিয়া হৃদয়কে পরিবৰ্ত্তিত করিয়া থাকেন। কিন্তু এরূপ অনুতাপও সকল সময়ে হৃদয়কে পরিবৰ্ত্তিত করে না । প্ৰথম আঘাতের তীব্ৰতা একটু হ্রাস হইলেই এই সকল ব্যক্তি আবার নিজ মূৰ্ত্তি ধারণ করে; আত্মস্তরিত আবার পূর্ববৎ হৃদয়কে পূর্ণ করিয়া ফেলে ; রাজসিক প্ৰকৃতি আবার নিজশক্তি বিস্তার করিতে থাকে । সুতরাং সে হৃদয়ে ভক্তি পদার্পণ করিতে পারে না। তৃতীয়,--আর এক প্রকার অনুতাপ আছে, তাহা স্বার্থবুদ্ধি-প্রসূত। পার্থিব ক্ষতিলাভের উপরে তাহা দণ্ডায়মান। তাহার মূলগত ভাব এই—“হায় ! হায় ! এমন কাজটা কেন করিলাম, আমার কত ক্ষতি হইয়া গেল । বেশ কাজটা ছিল তাহা গেল, বা বন্ধুবান্ধব সরিয়া দাড়াইল,” এইরূপ ক্ষোভেও। মানুষ অনেক সময়ে নিজের ওষ্ঠাধর দংশন করে। এ সকলই কৃত্ৰিম অনুতাপ । ইহাতে অবশ্যম্ভাবীরূপে হৃদয়ে পরিবর্তন আনয়ন করে না । প্ৰকৃত অনুতাপ ব্যতীত তাহা কখনই ঘটে না । প্ৰকৃত অনুতাপ আর এক প্রকার। তাহা বিশ্বাসিগণের হৃদয়ে ঈশ্বরের বিচ্ছেদ-যাতনা-সম্ভত । তাহার মূলে এই ভাব,-“আমি একাজ কেন করিলাম যাহাতে সে সৌভাগ্য হারাইলাম ! আমার কি যেন ছিল কি যেন চলিয়া গেল ! আমি সেই হস্তপদবিশিষ্ট মানুষ আছি, কিন্তু প্ৰাণ