8 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত “আহা! ধৈসেরা পথ চ’লে ক্লান্ত হ’য়ে এসেছে, ও বসে থাকবে। আর আমরা খাব, তা কি হয় ? যা যা তুই নেয়ে আয়।” তীর ত্বরাতে আমাকে আর ভাবিতে চিন্তিতে সমীয় দিল না, তাড়াতাড়ি স্নান করিয়া আসিয়া মামীদের পাতে বসিয়া গেলাম। মাতামহী । সেই লোকটির হাতে একটু তেল দিয়া বলিলেন, “‘বাবা! তুমিও নেয়ে এসো, আসবার সময় আমাদের বাগান থেকে একখানা কলাপাত কেটে এনে ৷” তার পরে মাতামহী ঠাকুরাণী যখন উঠানের পাশে টেকিশালার দাবা বাট দিয়া নিজের ভাতগুলি তুলিয়া তাহাকে দিতে গেলেন, তখন মামীদের সঙ্গে বিবাদ উপস্থিত হইল। তঁহার রাগারগি করিতে লাগিলেন। দিদিমা আমাকে যাহা বলিয়াছিলেন, তাহাই তাহাদিগকে বলিয়া নিজের ভাতগুলি ঐ ব্যক্তিকে ধরিয়া দিলেন। আমি আহারান্তে আচমন করিয়া আসিয়া দেখি, সে ব্যক্তি আহারে বসিয়াছে, দিদিমা অদূরে দাড়াইয়া দেখিতেছেন, এবং “বাবা, এটা খাও, ওটা খাও,” বলিতেছেন ; যেন তাহার প্রত্যেক গ্রাসে। তঁহার সন্তোষ হইতেছে। সে ব্যক্তি আহারান্তে আসিয়া গলবস্ত্র হইয়া আমার মাতামহীর চরণে প্রণিপাত করিয়া বলিল, “মা, অনেক বামনের মেয়ে দেখেছি, তোমার মত’ বামনের মেয়ে দেখিনি।” ঠিক কথা ! আমার মাতামহীর ন্যায় ব্রাহ্মণকন্যা বিরল। " বলিতে কি, তঁহাকে আমি যখন স্মরণ করি, আমার হৃদয় পবিত্র ও উন্নত হয়, এবং এ কথা আমি মুক্তকণ্ঠে বলিতে পারি যে, আমাতে যে কিছু ভাল আছে, তাহার অনেক অংশ তাঁহাকে দেখিয়া পাইয়াছি। " هو
পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০
অবয়ব