পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দশ পরিচ্ছেদ । বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষক হওয়া ; আর্থিক অবস্থা। দাৰ্জিলিং মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য গমন ; অশ্বারোহণ । মতিহারীতে বেদের অভ্রান্তত বিষয়ে বিচার । কলিকাতা সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের মন্দির সম্পূর্ণ করা ও পরবত্তী মাঘোৎসবের সময় মন্দির প্রবেশ । ( >brᎭ o ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষক হওয়া । আর্থিক অবস্থা -১৮৮০ সাল হইতেই বোধ হয় আমি ইউনিভার্সিটীির এনট্রান্স ও এল এ পরীক্ষায় সংস্কৃতের পরীক্ষক হইতে লাগিলাম। তদবধি বহু বৎসর ধরিয়া পরীক্ষকের কাজ করিয়াছি। প্রথম প্রথম পরীক্ষকের পারিশ্রমিক, স্বরূপ প্রতিবৎসর ৫০০-৬০০ টাকা পাইতাম। ক্রমে কম হইয়া আসিয়াছে। গড়ে সাড়ে তিন শত টাকা করিয়া ধরিলে আমি এইরূপে আট দশ হাজার টাকা উপাৰ্জন করিয়াছি। তদ্ভিন্ন আমার পুস্তকাদির আয় দ্বারাও কয়েক হাজার টাকা পাইয়াছি। ইহার কিছুই সঞ্চিত রাখি নাই। অর্থসঞ্চােয়র কথা মনে হইলেই মনে হয় যে, যদি সেই পথেই যাইব, তবে বিষয়-কর্ম্ম ছাড়িলাম কেন ? নাচিতে উঠিয়া ঘোমটা দেওয়া ভাল নয়। দুই পথ আছে-এক বিষয়ীর পথ, অপর ধর্ম্মপ্রচারের পথ। ৰিষীয় পথে যদি যাও, তবে অর্থের উপার্জনের ও সঞ্চায়ের দিকে দৃষ্টি রাখ ; মদি ধর্ম্মপ্রচারের পথে যাও, তুবে অর্থে পার্জন ও সঞ্চায়ের দিকে প্রধান দৃষ্টি রাখিয়ে না, ধর্ম্মপ্রচার ও ধর্ম্মসমাজের সেবার প্রতি প্রধান দৃষ্টি রাখি, ঈশ্বরের কৃপার উপরে নিভাির্ম্ম কর।