আইলা ফিরোজ যখন ঘাটের সাম্নে
সখিনা ফিরিয়া তারে দেখিল নয়ানে॥১২৮
দেখিয়া ফিরোজে কন্যা পলক না মারে
হায়রে কঠিন আল্লা ফালাইলা কি ফেরে।
এমন সুন্দর কুমার নবীন বয়সে
কিসের লাগ্যা ফকীর হইয়া ফিরে দেশে দেশে॥১২২
এই কথা ভাবিয়া কন্যা নিকটে আসিয়া
জিজ্ঞাস যে করে তার সাম্নে খাড়া হইয়া॥
সেলাম জানাইয়া ফকীর তোমার চরণে
মনের কথা জিজ্ঞাস করি মোর লয় মনে॥১২৬
কও তোমার পরিচয় কির্পা যে করিয়া
কোন্ খেজালতে পীর ফকীর হইয়া॥
চেংড়া বয়সে কেবা কও ফকীরি লয়
তোমারে দেখিয়া মোর দিলে দরদ হয় রে॥১৩০
কোন্ পরাণে ছাড়্যা দিছে তোমার বাপ মাও
না আইল পাছে পাছে হইয়া উধাও[১]॥
কিসের লাগিয়া আইলা আন্দর ভিতরে
সকল খুলিয়া মোরে কও সুস্তরে[২] রে॥১৩৪
এত শুনি ফিরোজ কয় কন্যার গোচরে
তোমার বাপজান পড়িয়াছে কঠিন বেমারে।
আমারে ডাকিলা দেওয়ান সেই সে কারণে
ভালা করিতে আইলাম তাহার সদনে॥১৩৮
(হারে কন্যা) নছিবের লেখা কেউ করে বাদসাগিরি
আল্লায় বানাইছে ফকীর দেশে দেশে ফিরি॥
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ফিরোজ খাঁ দেওয়ান
৪৪৯