পাদ্রিসাহেবের সহিত বিচার Swʼ(t অন্যের শর্ষপাতুল্য দোষ লোকে দেখিয়া থাকে, কিন্তু আপনার বিন্ধপরিমাণ দোষ দেখিয়াও দেখে না। সাকারত্ব প্রভৃতি দোষ, প্রকৃতপক্ষে বাইবেলের, পুরাণের নহে রামমোহন রায় তৎপরে বলিতেছেন যে, ঈশ্বরের সাকারত্ব প্ৰভৃতি পুরাণের যে সকল দোষের কথা পাদ্রিসাহেবের বলিতেছেন, তাহা প্ৰকৃত পক্ষে, পুরাণের দোষ নহে, বাইবেলেরই দোষ। কেননা, প্রথমতঃ পুরাণ বলিতেছেন যে, ঈশ্বরের সাকারত্ব ও ইন্দ্ৰিয়ভোগাদি যাহা বৰ্ণন করিলাম, তাহা কাল্পনিক । মন্দবুদ্ধি ব্যক্তির চিত্তাবলম্বনের নিমিত্তে বলিয়াছি। মিসনরি মহাশয়েরা বলেন, বাইবেলে যে ঈশ্বরের সাকারত্ব ও ইন্দ্ৰিয়াভোগাদির বর্ণন আছে, উহা যথার্থ। অতএব ঐ সকল দোষ র্তাহাদের মতেই কেবল উপস্থিত হয় । দ্বিতীয়ত: ;-হিন্দুদের পুবাণতন্ত্রাদিশাস্ত্ৰ সাক্ষাৎ বেদ নহে। বেদের সহিত পুরাণাদির অনৈক্য হইলে পুরাণাদির বচন গ্ৰাহ হয় না । কিন্তু বাইবেল, মিসনরি মহাশয়দের সাক্ষাৎ বেদ । অতএব, র্তাহাদের মতেই যথার্থ দোষ দেখা যাইতেছে। লৌকিক গুরুকরণে ফল কি ? পাদ্রিসাহেব প্রশ্ন করিয়াছেন যে, যে গুরু, বস্তু অনুভব করেন। নাই, তিনি সেই বস্তু নির্ণয়ের শিক্ষা দিলে, তাহা কি প্রকারে শুভদায়ক হইতে পারে ? লৌকিক গুরুকরণের কি ফল ? রাজা এই প্রশ্নের উত্তরে বলিতেছেন -“এ আশঙ্কা হিন্দুর শাস্ত্ৰমতে উপস্থিত হয় না। যেহেতু, শাস্ত্র কােহন, যে ব্যক্তির বস্তু
পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২১৩
অবয়ব